গরমে বিপর্যস্ত ঢাকা, বাড়ছে সর্দি-কাশি আর ডায়রিয়া

তাপপ্রবাহ
  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত ৩৪ বছরের মে মাসের রেকর্ড ছুঁয়ে গেছে। আর সারা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ৯ বছরের রেকর্ড পার করেছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আগামী দু-তিন দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

দেশের ৪৩ জেলার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী কয়েকদিনে আরও বাড়বে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা।

আরও পড়ুন:- ঢাকার তাপমাত্রা এক দিনে বাড়ল প্রায় ২ ডিগ্রি, গরম আরও বাড়বে

একদিকে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের আভাস, অন্যদিকে সারা দেশজুড়ে আবারও তাপপ্রবাহ। মাঝেমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী-বৃষ্টিও চলছে। এর মধ্যে বর্তমানে দেশের বেশির ভাগ এলাকার মানুষ জীবন অতিষ্ঠ করা গরমে কষ্ট পাচ্ছে। দুই দিন আগে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। জীবনের তাগিদে ঘরের বাইরে বের হলেও হাঁসফাঁস অবস্থা সবার। বাড়ছে ডায়রিয়াজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। 

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস এপ্রিলের পর মে মাসে সারা দেশের তাপমাত্রা কিছুটা কমে যায়। এবার এপ্রিল অন্য বছরগুলোর তুলনায় বেশি উষ্ণ থাকার পর মাসের শেষের দিকে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। এতে তাপমাত্রা বেশ কমে গিয়ে জনজীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি নেমে এসেছিল। কিন্তু এবার মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আবারও তপ্ত দিন শুরু হয়ে যায়। গতকাল রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ১৯৮৯ সালের ৮ মের পর মে মাসের কোনো দিনে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ওই দিনই ঢাকায় এই তাপমাত্রা হয়েছিল।

শুধু ঢাকাতেই নয়, সারা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ক্ষেত্রেও গত ৯ বছর আগের রেকর্ড ছুঁয়েছে। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে যশোরে ওই একই তাপমাত্রা উঠেছিল। স্বাধীনতার পর মে মাসে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ১৯৯৫ সালের ২৮ মে যশোরে, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ ড. শামিম হাসান ভুঁইয়া বলেন, গত এপ্রিলের মতো চলতি মে মাসেও একের পর এক সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হতে দেখা যাচ্ছে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা বেড়ে দেশের উষ্ণতা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় বেশির ভাগ মেঘ সেখানে চলে গেছে। ফলে দেশের আকাশ মেঘমুক্ত ও পরিষ্কার হয়ে ওঠায় টানা সূর্যের কিরণ আসছে। এতেই আবারও দাবদাহ শুরু হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে শিশু বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে দিন পার করছেন। এ বিষয়ে ডাক্তার সুশান্ত বড়ুয়া বলেন, গরমের ঘাম থেকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি খাবারের বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে। কারণ এই সময়ে ফুডপয়েজনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঘটনাও বেড়ে যায়।-পার্স টুডে


মন্তব্য