ডেঙ্গু সংক্রমণ জুলাইয়ে বেড়েছে ৭গুণ, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে চূড়ায় পৌঁছাবে
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৩, ০১:০৭ PM , আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩, ০১:০৭ PM

ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিনকেদিন ভয়াব হচ্ছে। সংক্রমণ গত মাসের তুলনায় জুলাইয়ে বেড়েছে সাত গুণ। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এটি চূড়ায় পৌঁছাতে পারে। কারিগরি কমিটি করে সমন্বিত উদ্যোগ না নিলে হাসপাতালে রোগীর পাশাপাশি মৃত্যুহার বাড়বে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও কীটতত্ত্ববিদরা। এদিকে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে পাঁচ হাজার শয্যা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের রেকর্ড ভেঙেছে ডেঙ্গু রোগী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, এ সময়ে ২ হাজার ৭৩১ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা দৈনিক সংক্রমণে গত ২৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ২৩ জুলাই ভর্তি হয়েছিলেন ২ হাজার ৬৫৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বলেছেন, জুনের তুলনায় চলতি মাসে রোগী বেড়েছে সাত গুণের বেশি। রোগীদের মধ্যে পুরুষ ৬৪ ও নারী ৩৬ শতাংশ। মধ্যবয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ঢাকায় শিশুদের আক্রান্তের হার বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে, জানুয়ারিতে ৫৬৬, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬, মার্চে ১১১, এপ্রিলে ১৪৩, মে মাসে ১ হাজার ৩৬ ও জুনে ৫ হাজার ৯৫৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর শুধু জুলাইয়ে রোগী দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ১৬০ জন। জুন ও জুলাইয়ে রোগীর ব্যবধান সাত গুণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ১৮৪ ও ১ হাজার ৫৪৭ জন ঢাকার বাইরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৮ জনের মধ্যে ঢাকার চার ও ঢাকার বাইরের বাসিন্দা চারজন। চলতি বছর এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৯ হাজার ১৩৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৪৭ জন। তবে জুলাইয়ের ২৯ দিনেই মারা গেছেন ২০০ জন। মৃতদের ১৩৬ নারী ও পুরুষ ১১১ জন।
এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারি হাসপাতালে আরও পাঁচ হাজার শয্যা প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। যেখানে শয্যা দেওয়া সম্ভব, সেখানেই প্রস্তুত করা হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, কুয়েত-মৈত্রী, কুর্মিটোলা, বার্ন ইনস্টিটিউট, যেখানে জায়গা আছে শয্যা প্রস্তুতের জন্য বলে দিয়েছি। প্রায় ১ হাজার ৪০০ শয্যা নতুন করে বাড়াতে বলা হয়েছে। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালেও শয্যা রাখা হয়েছে।