যেভাবে বুঝবেন হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে যাচ্ছেন!
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৪ PM , আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৪ PM

গত এক সপ্তাহ ধরে সারাদেশে বিরাজ করছে তীব্র তাপপ্রবাহ। কয়েকটি জেলায় ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেছে তাপমাত্রা। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিটস্ট্রোকে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, আরও কয়েকদিন তাপপ্রবাহ বিরাজ করতে পারে। এ অবস্থায় আগে থেকেই যদি হিটস্ট্রোকের লক্ষণগুলো জানা থাকে তাহলে, তাহলে অনেকাংশে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে।
হিটস্ট্রোকের আগে ব্যক্তি চরম তৃষ্ণা অনুভব করতে পারে। সেইসঙ্গে ডিহাইড্রেটেড এবং আড়ষ্টতা অনুভব করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক হিটস্ট্রোকের লক্ষণগেুলো-
দ্রুত হৃদস্পন্দন
হিটস্ট্রোকের আগে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত হতে পারে।
তীব্র মাথাব্যথা
প্রচণ্ড গরমে মাথাব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া গরমে মানুষের মাইগ্রেন ট্রিগার করতে পারে। এটি হিটস্ট্রোকের একটি লক্ষণ হতে পারে।
প্রচণ্ড তৃষ্ণা, পানিশূন্যতা
হিটস্ট্রোকের আগে ব্যক্তি চরম তৃষ্ণা অনুভব করতে পারে, সেইসঙ্গে ডিহাইড্রেটেড এবং আড়ষ্টতা অনুভব করতে পারে। শরীর নিজেকে ঠান্ডা করার জন্য অতিরিক্ত ঘাম তৈরি করতে পারে।
ঘাম না হওয়া
হিটস্ট্রোকের একটি লক্ষণ হলো প্রচণ্ড গরমেও ঘাম না হওয়া। সাধারণত এর মানে হচ্ছে, শরীরে ঘাম হওয়ার মতো পানি আর নেই বা শরীরের প্রাকৃতিক শীতল প্রক্রিয়াটি কাজ করছে না।
বমি বমি ভাব
মাথাব্যথা, দ্রুত হৃদস্পন্দন ও হাইপারভেন্টিলেশন থেকে অক্সিজেনের অভাব ইত্যাদির কারণে হিটস্ট্রোকের আগে বমি বমি ভাব হতে পারে।
বিরক্তি বা প্রলাপ বকা
অতিরিক্ত তাপের কারণে হিটস্ট্রোকের আগে মানুষ বিরক্ত বোধ করতে পারে, রাগান্বিত হতে পারে, অযৌক্তিক কথা বলতে পারে, এমনকি প্রলাপ বকতে করতে পারে।
পেশিতে ব্যথা
হিটস্ট্রোকের আগে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, তারমধ্যে একটি হলো পেশি ব্যথা। যদিও সাধারণ ব্যথা ভেবে মানুষ এটা গুরুত্ব দেয় না।
দুর্বলতা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
অতিরিক্ত উত্তাপে শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করে। শরীরে আরও ক্লান্তি ও দুর্বলতা তৈরি হয়। ব্যক্তি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। এগুলো হিটস্ট্রোকের লক্ষণ।
কথা জড়িয়ে যাওয়া
হিটস্ট্রোকের আরেকটি লক্ষণ কথা জড়িয়ে যাওয়া। ব্যক্তি অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করতে পারে।
মার্কিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান মায়ো ক্লিনিক জানাচ্ছে, গরম পরিবেশে থাকার কারণে দেহের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে গেলেই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
দ্রুত ব্যবস্থা নিতে না পরলে মস্তিষ্ক, হৃদপিণ্ড, বৃক্ক ও পেশির ক্ষতি হয়। আর যত দেরি হবে চিকিৎসা নিতে ততই মৃত্যু ঝুঁকি বাড়বে।