৭ দফা দাবিতে কৃত্রিম প্রজনকারীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি

দাবি
  © সংগৃহীত

 সাত দফা দ্বিতীয় দিনের মতো আজও সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি খাতে কৃত্রিম প্রজনন সেবায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে। গতকাল থেকে কৃত্রিম প্রজনকর্মীরা এই কর্মবিরতি শুরু করেন।

আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ এআই টেকনিশিয়ান কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আজাদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি চলছে। এটা গতকাল শুরু করেছিলাম। আজ সকাল থেকে আমাদের আবার কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।

এর আগে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাত দফা দাবিতে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি খাতে কৃত্রিম প্রজনন সেবায় অনির্দিষ্টকালের বিরতি ঘোষণা করেন কৃত্রিম প্রজননকর্মীরা।

তাদের দাবিসমূহ হলো-
১। এআইটি কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ইতোপূর্বে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল (সম্মানজনক ভাতা/দৈনিক হাজিরা) তার দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত করতে হবে।
২। একই ইউনিয়নে একাধিক এআইটি নিয়োগ প্রক্রিয়া (নিজ খরচ, যথাযথ প্রক্রিয়া বিহীন প্রশিক্ষণ) বাতিল করতে হবে।
৩। এতগুলো বেসরকারি কোম্পানিকে কৃত্রিম প্রজনন কাজ করার অনুমতি দিয়ে টার্গেট প্রথা বহাল রাখা অযৌক্তিক। টার্গেট পূরণের বাধ্যবাধকতা শিথিল করতে হবে।
৪। এআইটিদের চাহিদা মোতাবেক সিমেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
৫। সরকারি সিমেনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধ করতে হবে। সেক্ষেত্রে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও জেলা ডিডি (এআই) অফিসকে যথোপযুক্ত ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
৬। বেসরকারি এআই কর্মীদের উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে মাসিক রির্পোট প্রদান নিশ্চিত করতে অফিস আদেশ জারি করতে হবে।
৭। সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী যোগ্য এআইটিদের এফএ (এআই) পদে নিয়োগ প্রদান ত্বরান্বিত করতে হবে।