বিশ্বজুড়ে ফের বাড়ছে করোনার সংক্রমণ
- মোমেন্টস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২২, ০৯:৫০ AM , আপডেট: ১৩ জুন ২০২২, ০৯:৫০ AM

সারাবিশ্বে করোনা সংক্রমণের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে যখন সবে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। রবিবার (১২ জুন) ভারতে শনাক্তের সংখ্যা সর্বশেষ ৩ মাসের রেকর্ড ছুঁয়েছে। একদিনেই দেশের ৮ হাজার ৫৮২ জন করোনা পজিটিভ হয়েছে। অন্যদিকে চীনের সাংহাইতে নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় গণহারে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। দেশটির সরকারের জিরো কোভিড নীতির পরও সেখানে একদিনে ৬১ জনের শরীরে ভাইরাসটির অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। ফলে নড়েচড়ে বসেছে দেশটি।
শুধু ভারত কিংবা চীনই নয়, বাংলাদেশে ফের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গত ২ মাস দেশে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা কম ছিল। তবে চলতি মাসের শুরু থেকে ধীরগতিতে বাড়ছে শনাক্তের সংখ্যা। রবিবার দেশে নতুন ১০৯ জনের শরীরে এ ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়।
করোনাবিষয়ক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ১২ দিন ধরে সংক্রমণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। গত শনিবার (১১ জুন) দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৭১। একদিনের ব্যবধানে রবিবার তা দাঁড়ায় ১০৯-এ। এর আগে সর্বশেষ ২৫ মার্চ ১০০ জনের বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল। যদিও চলতি মাসে এখন পর্যন্ত কোনো রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া দৈনিক করোনাবিষয়ক বিজ্ঞপ্তি বলছে, জুনের প্রথম দিন ৩৪ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর ২ জুন ২২ জন, ৩ জুন ২৯, ৪ জুন ৩১, ৫ জুন ৩৪, ৬ জুন ৪৩, ৭ জুন ৫৪, ৮ জুন ৫৮, ৯ জুন ৫৯ ও ১০ জুন ৬৪ জনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২.০৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩.৭৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭.৫০ ও মৃত্যুহার ১.৪৯।
সংক্রমণ রোধে সাবধানতা অবলম্বন করার বিষয়ে সাধারণ মানুষের উদাসীনতার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা আবারো বাড়তে শুরু করেছে বলে মনে করছেন রোগতত্ত্ববিদরা। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুশতাক হোসেন বলেন, বিভিন্ন দেশে আবারও করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এটি এমনই একটি সংক্রামক রোগ, যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিতে হয়। সংক্রমণ বাড়লেও যেন হাসপাতালে চাপ না বাড়ে এজন্য টিকা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। ভাইরাসের গতিবিধির দিকে নজর রাখতে হবে। সংক্রমণ বাড়লে যেন ব্যবস্থা নেয়া যায় এজন্য পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে।