কলেরার মুখে খাওয়ার টিকা কর্মসূচি শুরু কাল

আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় কলেরা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় কলেরার টিকাদান কর্মসূচি। ঢাকার পাঁচটি স্থানে চলবে এই কর্মসূচি। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী,সবুজবাগ, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও দক্ষিণখানের প্রায় ২৩ লক্ষ মানুষকে ইতিমধ্যে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। এটি আগামীকাল থেকে শুরু হয়ে চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত। 

রোববার (২৫ জুন) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

আরও পড়ুন: বাড়িতে বিস্ফোরণে দগ্ধ একই পরিবারের চারজন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইসিডিডিআর,বি দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কলেরা টিকা প্রদান ও টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। 

এতে আরও বলা হয়, এ কার্যক্রমের আওতায় আগামী ২৬ জুন হতে ২ জুলাই ১ম ডোজ মুখে খাওয়ার কলেরা টিকাদানের ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। এ উপলক্ষে রোববার দুপুর ২ টায় আইসিডিডিআর,বিতে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ডায়‌রিয়া রোগীদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল

উল্লেখ্য, ১৮০০ সালের শেষদিকে প্রথম কলেরা প্রতিরোধে টিকা ব্যবহার করা হয়।  পরীক্ষাগারে তৈরী প্রথম এই টিকাগুলো  ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। ১৯৯০ সালে প্রথম মুখে গ্রহণের টিকা প্রবর্তন করা হয়। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় ঔষুধের তালিকার অন্তর্ভুক্ত, মৌলিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষুধ। কলেরার বিরুদ্ধে টিকা দেয়ার খরচ ০.১ থেকে ৪.০ মার্কিন ডলারের মধ্যে।

যারা উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে আছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যবস্থার সাথে ব্যবহারের পরামর্শ দেয়। সাধারণত দুই অথবা তিন ডোজ মুখে গ্রহণের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। বিশ্বের কিছু কিছু এলাকায় ইনজেকশনের মাধ্যমে গ্রহণের ব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু এর পরিমাণ খুব সামান্য।