একদিনে তিন মৃত্যু, শনাক্ত দুই হাজারের বেশি 

দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায়  তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৭ জন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে করোনা আবারও ধীরে ধীরে বাড়ছে। শনাক্তের হার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ ছিল। এখন সেটা প্রায় ২ শতাংশের ওপরে। প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন করে সংক্রমিত হতো। এখন সেটি শতাধিক। আমি মনে করি টেস্ট বেশি করলে সংক্রমণের হার আরও বেশি পাওয়া যাবে। 

আরও পডুন:প্রতিটি হাসপাতালে ডায়রিয়া-কলেরা ইউনিট তৈরি হবে

মঙ্গলবার (১৪ জুন) আইসিডিডিআর,বির মিলনায়তনে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে নারী গবেষকদের গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে তেমন রোগী নেই। সারাদেশের হাসপাতালে ২০ জন রোগীও নেই। আশার বিষয় কোনও মৃত্যু নেই। কিন্তু সংক্রমণের হার যদি বেড়ে যায় হাসপাতালের রোগীর সংখ্যাও বাড়বে, মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়বে। সেজন্য আমি সবাইকে বলবো স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কাজ করতে।

জাহিদ মালেক বলেছেন, মাস্ক পড়তে হবে, হ্যান্ড স্যানিটাইজ করতে হবে, সামাজিক দূরত্ব যতটুকু সম্ভব বজায় রাখতে হবে। যারা টিকা নেয়নি তারা যেন টিকা নিয়ে নেয়। আমরা বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন করছি। এখনও অনেক মানুষের বুস্টার ডোজ নেওয়া বাকি আছে। আমরা আড়াই কোটি মানুষকে বুস্টার ডোজ দিয়েছি। আমরা চাই যারা দুই ডোজ নিয়েছেন তারা প্রত্যেকেই বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে নারীর ক্ষমতায়ন অনেক ভাবেই হয়েছে। তবে আরও প্রয়োজন আছে। আমরা মেডিক্যালে আবেদন যে পাই সেখানে ৭৫ শতাংশই নারী। নারীরা পিছিয়ে নেই তারা এগিয়ে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন মাস্ক পড়ি না। সামাজিক দূরত্ব নাই। সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। স্কুল, কলেজ বাজারঘাট কাজকর্ম সব আগের নিয়মে চলে এসেছে। সেজন্য করোনা কিছুটা বাড়তি। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে করোনা বাড়ছে।

আরও পডুন: করোনা আবারও ধীরে ধীরে বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

তিনি বলেন, এটাও আমরা লক্ষ্য করেছি যে বিভিন্ন দেশ থেকে লোক আসে তারাও করোনা নিয়ে আসে। তারা টিকাপ্রাপ্ত তাই আরটি পিসিআর টেস্ট করা লাগে না। সেজন্য আমরা ডিটেক্ট করতে পারি না। ওটার কারণে করোনা কিছুটা বাড়তে পারে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যদি দেখি অন্যান্য দেশে আরও বাড়ছে তাহলে আগের সেই টেস্ট করে আসার নিয়ম আবার জারি করা হবে।