আফগানিস্তানে ২৫ জনকে হত্যা করেছেন প্রিন্স হ্যারি

হ্যারি
বিমানবাহিনীর অ্যাপিচ পাইলট হ্যারি  © ফাইল ছবি

আফগানিস্তানে তালেবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দুই দফা দায়িত্ব পালন করেছেন প্রিন্স হ্যারি। সে সময় তিনি ২৫ জনকে হত্যা করেছেন । আত্মজীবনীতে এ কথা স্বীকার করেছেন তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এএফপি এ কথা জানিয়েছে।

শিগগিরই প্রিন্স হ্যারির এই আত্মজীবনী প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। তবে আত্মজীবনীর স্প্যানিশ সংস্করণ ভুলবশত গতকালের আগেই বিক্রির জন্য দোকানে রাখা হলে সেখান থেকে কিয়দাংশ প্রকাশ করে দ্য টেলিগ্রাফ। অবশ্য পরে দোকান থেকে সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।

৩৮ বছর বয়সী হ্যারি তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রথমবার ২০০৭-০৮ মেয়াদে বিমান হামলার ফরওয়ার্ড এয়ার কন্ট্রোলার কলিংয়ে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০১২-১৩ মেয়াদে অ্যাটাক হেলিকপ্টারের পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ডিউক অব সাসেক্স (প্রন্সি হ্যারি)-এর আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’ আগামী সপ্তাহে সারা বিশ্বে একযোগে প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে ব্রিটিশ রাজপরিবারের এই সদস্য লিখেছেন, পাইলট হিসেবে তিনি ছয়টি অভিযান পরিচালনা করেন। এসব অভিযানে তাঁকে ‘মানুষের প্রাণ নিতে হয়েছে’।

প্রিন্স হ্যারি বলেন, এই কাজ করার জন্য তিনি গর্বিতও নন, কিংবা লজ্জিতও নন। হামলায় লক্ষ্যবস্তুকে নিকেশ করে দেওয়ার মুহূর্তকে বোর্ড থেকে ‘দাবার গুটি সরিয়ে’ দেওয়ার মতো বলে তিনি উল্লেখ করেন।

নিরাপত্তার কারণে প্রিন্স হ্যারির আফগানিস্তান সফরের খবর প্রকাশে কঠোর কড়াকড়ি ছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমও বিষয়টি মেনে নেয়। তবে একটি বিদেশি পত্রিকা এই নিষেধাজ্ঞা ভেঙে খবর প্রকাশ করলে তিনি দেশে ফিরতে বাধ্য হন।

কতজন তালেবানকে হত্যা করেছেন, তা নিয়ে প্রিন্স হ্যারি কখনো প্রকাশ্যে কথা বলেননি। অবশ্য অ্যাপাচি হেলিকপ্টারে বসানো ক্যামেরা প্রিন্স হ্যারিকে তাঁর অভিযান মূল্যায়নের সুযোগ করে দিয়েছে। এর ফলে কতজনকে তিনি হত্যা করেছেন, সেটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারেন।

প্রিন্স হ্যারি লেখেন, ‘আমার সংখ্যাটা ছিল ২৫। এটি এমন একটি সংখ্যা নয়, যা আমাকে তৃপ্ত করে, তবে এটি আমাকে বিব্রতও করে না।’

যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেনে হামলার স্মৃতি এবং হতাহতদের পরিবারে সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি তুলে ধরে প্রিন্স হ্যারি নিজের এই কাজকে ন্যায্যতা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার জন্য যারা দায়ী এবং তাদের সহানুভূতিশীলেরা ‘মানবতার শত্রু’। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিশোধ নেওয়ারই একটি কাজ।