মমতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য: অমর্ত্য সেন

অমর্ত্য সেন
পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন   © সংগৃহীত

"মোদি নাহি তো কোন হ্যায়" প্রায়ই এমন প্রশ্ন শোনা যায় বিজেপি ও তার সমর্থক গোষ্ঠীর মুখে। মোদির বিকল্প কে এই প্রশ্ন ভারতে জাতীয় প্রশ্নের পর্যায়ে চলে গেছে। যেনো সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। খবর এনডিটিভির

অমর্ত্য সেন তাঁর সাক্ষাৎকারে ২০২৪ সালের নির্বাচনে আঞ্চলিক শক্তির গুরুত্বের কথা বলেছেন। সেখানে অন্যান্য দলের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের কথাও উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, ‘‌বিজেপি যেভাবে নিজেকে বিরাট শক্তিধর হিসেবে দেখায় সেটা একটা দিক। কিন্তু বিজেপির দুর্বলতাও বিস্তর। সমস্ত দল যদি একসঙ্গে লড়াই করতে পারে তাহলে ২০২৪ সালে বিজেপিকে রুখে দেওয়া সম্ভব।’‌ তবে কংগ্রেস যেভাবে দুর্বল হয়েছে তাতে তাদের উপর মানুষ কতটা আস্থা রাখবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন নোবেলজয়ী।

অমর্ত্য সেন বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে জনগণের হতাশাকে কাজে লাগাতে সক্ষম হবেন কিনা তা এখনও প্রতিষ্ঠিত নয়।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি কয়েকটি আঞ্চলিক দল স্পষ্টভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে ডিএমকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল, তৃণমূলও অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং সমাজবাদী পার্টিরও কিছুটা অবস্থান আছে, তবে সেই অবস্থান বাড়ানো যাবে কিনা আমি জানি না।’

২০২৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে বিজেপিকে পরাজিত করার লক্ষে প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসসহ জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং জনতা দলের (ইউনাইটেড) মতো দেশটির কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা একটি নতুন জোট গড়ার ডাক দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো আন্দোলনে' অনেক বিরোধী পার্টির নেতাকে দেখা গেছে। দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত করবে বলে এসব দলের নেতারা জোর দিয়েছেন।


মন্তব্য