কাশ্মীরে ভয়ানক তুষারঝড়

কাশ্মীর
কাশ্মীরে তুষারঝড়ের একটি দৃশ্য   © সংগৃহীত

শনিবার সন্ধ্যায় কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র সোনমার্গে একটি বিশাল তুষারধস আঘাত হানে। গত দুই দিনের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তুষারধসের সাক্ষী থাকল কাশ্মীর। জম্মু ও কাশ্মীর বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আরও তুষারপাত দেখা যেতে পারে উপত্যকায়। এই আবহে পর্যটকদ এবং স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় তুষারধসের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে গতকাল। তাতে দেখা যাচ্ছে, সোনমার্গের সরবাল গ্রামের দিকে তাজা তুষারের 'ঢেউ' গড়িয়ে পড়ছে দু'দিক দিয়ে। তবে এই জোড়া তুষারধসে কেউ আহত হননি। তুষারধসের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

জানা গিয়েছে, জোড়া তুষারধসের সময় সেই গ্রামে উপস্থিত ছিলেন হায়দরাবাদ ভিত্তিক একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার কর্মীরা। মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড নামক সংস্থার কর্মীরা সেখানে এক সুড়ঙ্গ তৈরির কাজে নিযুক্ত ছিলেন। পুলিশ জানায়, জোড়া তুষারধসের পরই সেখান থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় সেই ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার কর্মীদের। এর আগের দিনই উত্তর কাশ্মীরের গুরেজেও একটি তুষারধস আঘাত হেনেছিল। সেই ঘটনায় করাও প্রাণ যায়নি বা কোনও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে এর আগে গত বৃহস্পতিবারই সোনমার্গেই একটি তুষারধসে মৃত্যু হয়েছিল দুই নির্মাণ কর্মীর।

এদিকে দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বান্দিপোরা এবং কুপওয়ারা জেলায় ২০০০ মিটারের উচ্চতায় তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তুষারপাতের জন্য 'উচ্চ বিপদ' স্তরের সতর্কতা জারি করা হয়েছে এই এলাকাগুলিতে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা আরও সতর্ক করেছে যে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বারামুল্লা, ডোডা, গান্দেরবাল, কিশতওয়ার, পুঞ্চ, রামবান এবং রিয়াসি জেলাগুলিতে ২০০০ মিটারের উচ্চতায় তুষারধসের মাঝারি সম্ভাবনা রয়েছে। 

এদিকে, আজ অনন্তনাগ, কুলগাম এবং রাজৌরি জেলাতেও তুষারধসের ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে। এই অঞ্চলে বসবাসকারী লোকেদের সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য বলা হয়েছে এবং তুষারধস প্রবণ এলাকায় প্রবেশ এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে পর্যটকদের। গত ৪৮ ঘন্টা ধরে কাশ্মীরের উঁচু এলাকাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী তুষারপাত হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই উপত্যকার সমতল ভূমিতেও তুষারপাত শুরু হয়। একাধিক জেলা শৈত্যপ্রবাহে কাবু। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা


মন্তব্য