চীনকে মোকাবিলায় পরাশক্তিদের এক হওয়ার আহবান জাপানের

জাপান
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা  © সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় সময় শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে চীনকে মোকাবিলায় জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের পরাশক্তি দেশগুলোকে ঐকবধ্য হয়ে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।

চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলায় এক হয়ে কাজ না করে কোনো উপায় নেই বলে জানিয়েছেন ফুমিও কিশিদা। তিনি বলেছেন, ‘চীনের সঙ্গে থাকা সম্পর্ক নিয়ে অবশ্যই জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপকে এক হতে হবে।’

এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেছেন কিশিদা। তিনি বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর স্নায়ু যুদ্ধ পরবর্তী সময়ের স্থিতিশীলতা ‘পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে।’ এখন ইউক্রেনে চলমান রাশিয়ার আগ্রাসনকে যদি ‘বাধা না দেওয়া হয়’ তাহলে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এ থেকে এশিয়াও বাদ যাবে না।

এ ব্যাপারে জাপানি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কঠিন মুহূর্তে আছে। যে মুক্ত, স্থিতিশীল আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখার জন্য আমরা সর্বোচ্চটা দিচ্ছি সেটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা কখনো বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন হতে দেব না। আমরা এর বিরুদ্ধে আরও শক্ত অবস্থান নেব।’

বিরোধপূর্ণ পূর্ব চীন সাগরের সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জে চীনের নৌবাহিনীর গতিবিধি নিয়েও কথা বলেছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, এগুলো সহ্য করা হবে না। এছাড়া গত বছর চীনের ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র জাপান সাগরে পড়ার তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত কয়েক দশক ধরে চীনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে আসছে জাপান। তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকাও চীনের বিরুদ্ধে কঠিন অবস্থানে আছে। এছাড়া চীনের প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতের সাথে ইন্ডিয়ার সীমান্ত বিরোধ নিয়ে শত্রুতা চরমে। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াও চীনের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব স্থাপন করে আসছে। এমতাবস্থায় জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এমন আহবান চীনের জন্য কঠিন সময় নিয়ে আসবে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। 


মন্তব্য