অর্থনৈতিক মন্দাঃ পাকিস্তানে ১ডজন ডিম ৩৩০টাকা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:১৫ PM , আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:১৫ PM

বিশ্বজুড়েই ২০২৩ সালে একটি মন্দা আসতে পারে। পূর্বাভাস অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে এই বছর ১.৭% প্রবৃদ্ধি হতে পারে। তবে, উন্নত দেশগুলির তুলনায়, মন্দার সময়ে সাধারণত অনুন্নত, উন্নয়নশীল দেশের বাসিন্দাদের জীবনেই আরও কঠিন প্রভাব পড়ে। তাই পাকিস্তানের পরিস্থিতি যে বেশ চিন্তার বিষয়, তা বলাই যায়। এমনিতেও করোনা পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সঠিক নীতির অভাব ইত্যাদি কারণে তলানিতে সেদেশের অর্থনীতি।
আলোচ্য রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার কারণে পাকিস্তানের অর্থনীতি তুমুলভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গত বছরের বন্যায় পাকিস্তানের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা প্রভাবিত হয়ছিল। প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১৫ জন পাকিস্তানবাসী এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
২০২৪ সালে যদিও অল্প কিছুটা ছবি বদলাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভবিষ্যত যে ঠিক কেমন হবে, তা সঠিকভাবে কেউ-ই বলতে পারছেন না।
গত এক মাসে পাকিস্তানে খাদ্যদ্রব্যের বিপুল মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। তলানিতে জ্বালানি ভাণ্ডারও। জ্বালানি বাঁচাতে 'ন্যাশনাল এনার্জি কনজারভেশন প্ল্যানে' সম্মতি দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের ক্যাবিনেটে।
এই পরিকল্পনার আওতায় রাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই মার্কেট, শপিং মল ও বিয়েবাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এভাবেই বিদ্যুত্ উত্পাদনের খরচ বাঁচাতে মরিয়া পাকিস্তান সরকার।
জ্বালানি সংকটে পাকিস্তানের ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়েছে। করাচি ও লাহোরে বেশ কয়েকটি মালগাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকদিন। দেশের কিছু স্থানে গ্যাস সিলিন্ডারের অভাবে, প্লাস্টিকের বেলুনে LPG ভরে ব্যবহার করা হচ্ছে।
খাদ্যদ্রব্য ও জ্বালানির দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। সাপ্তাহিক মূল্যবৃদ্ধি গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩১% বেড়ে গিয়েছে। ফলে বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীটুকু জোগাড় করতেই কার্যত নাকাল পাকিস্তানবাসী। বছর ভিত্তিতে(YoY) মূল্যবৃদ্ধির হার ৩০.৬০%।
বর্তমানে সেখানে গড়ে ১ ডজন ডিমের দাম ৩৩০ টাকা। মুরগির মাংসের কথা তো ছেড়ে দেওয়াই ভাল। সেটি এখন প্রায় ৬৫০ টাকা প্রতি কেজি। আলু ৬০ টাকা। দুধ ১৯০ টাকা প্রতি লিটার।