মোদীকে নিয়ে করা বিবিসির তথ্যচিত্র সম্পর্কিত সব টুইট মুছে ফেলার নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৫৭ PM , আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৫৭ PM

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা সহ্য করতে রাজী নয় ভারত। তাই গুজরাট দাঙ্গায় মোদির ভূমিকা নিয়ে বিবিসির ‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্র নিয়ে ইউটিউব থেকে তো বটেই টুইটার থেকে যাবতীয় টুইট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। শনিবার এনডিটিভি অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার অন্যতম হোতা বলা হয় নরেন্দ্র মোদিকে। যদিও মোদি প্রধানমন্ত্রী হবার পর দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তাকে ক্লিনশিট দিয়েছে। গুজরাট দাঙ্গায় বিলকিস বানো নামে এক মুসলিম নারীকে ধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সাত সদস্যকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েকজন আসামীকে সম্প্রতি মুক্তি দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। ২০০২ সালের সেই দাঙ্গায় অন্তত ২হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু নিহত হয়। গর্ভবতী মহিলার পেট কেটে বাচ্চা বের করে তাকেও হত্যা করার ইতিহাস রয়েছে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এই দাঙ্গায়।
কুখ্যাত সেই গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে গত ১৭ জানুয়ারি ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ শিরোনামের প্রতিবেদনটির প্রথম পর্ব প্রচার করে বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, দাঙ্গার পরপরই ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর তদন্তে নেমেছিল। বিবিসির তথ্যচিত্রে সেই প্রতিবেদনগুলোর সারাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। ২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গাকে ব্যবহার করে নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে কীভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তথ্যচিত্রে সেই বিষয়টিকে হাজির করা হয়েছে। বিবিসির দাবি, এই দাঙ্গা মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হতে সাহায্য করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বিবিসি নির্মিত দুই পর্বের এই ধারাবাহিককে ‘অপপ্রচারণা’ বলেছেন। সেইসঙ্গে এই তথ্যচিত্রে পক্ষপাতিত্ব, বস্তুনিষ্ঠার অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, বিবিসির তথ্যচিত্রের লিংক শেয়ার করেছেন এমন ৫০টি টুইট মুছে ফেলতে টুইটারকে নির্দেশ দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এমনকি নতুন করে কেউ লিংক শেয়ার করলে তাও সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব টুইট মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে তৃণমূল সংসদ সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েনের টুইটও ছিল।
ডেরেক লিখেছেন, ‘সেন্সরশিপ। টুইটার বিবিসি ডকুমেন্টারির আমার টুইটটি সরিয়ে নিয়েছে। এটি লাখ লাখ ভিউ পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কীভাবে সংখ্যালঘুদের ঘৃণা করেন এক ঘন্টার বিবিসি ডকুমেন্টারিটি সেই বিষয়টিই প্রকাশ করেছে।’