মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র টুইটার থেকে সরানোয় বিরোধীদের ক্ষোভ

মোদি
ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  © ফাইল ফটো

২০০২ সালে ভয়ংকর গুজরাট দাঙ্গায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্রের লিংকগুলো ইউটিউব-ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় ব্লক করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এই নির্দেশের পর ভারতের বিরোধী দলগুলো প্রশ্ন তুলেছে, কেন একটি তথ্যচিত্রের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে? নির্দেশ উপেক্ষা করে সামাজিক মাধ্যমে এটি পোস্টও করছেন বিরোধীদলীয় অনেক নেতাকর্মী। খবর- বিবিসির।

যুক্তরাজ্যে প্রচারিত এই তথ্যচিত্রে গুজরাটে একুশ বছর আগেকার ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় তখনকার মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা কী ছিল, তার বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি মহুয়া মৈত্র ও ডেরেক ও ব্রায়েন দু'জনেই ওই তথ্যচিত্রের ভিডিও লিংক টুইট করেছেন। এআইএমআইএম নেতা ও হায়দরাবাদের এমপি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি টুইটারে লিখেছেন, সরকার বিবিসির তথ্যচিত্র ব্লক করতে পারে কিন্তু জাতির জনকের হত্যাকারী নাথুরাম গোডসেকে নিয়ে চলচ্চিত্র আটকাতে পারে না।

পার্লামেন্টে সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভাষণ দেওয়ার জন্য পরিচিত মহুয়া মৈত্র লেখেন, "দুঃখিত, সেন্সরশিপ মেনে নেওয়ার জন্য বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করতে নির্বাচিত হইনি। এই দিলাম লিঙ্ক যতক্ষণ আছে তার মধ্যে দেখে নিন। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে 'সম্রাট ও তাঁর পারিষদরা' যে এত নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, সেটাও 'চরম লজ্জার' বিষয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ডেরেক ও ব্রায়ান জানান, টুইটারে তাঁর পোস্ট করা লিঙ্কটি তিন দিন টিকতে পেরেছিল, তার মধ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষ সেটি দেখে ফেলেছেন।

শিবসেনার এমপি প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী লেখেন, আজকের এই ভিপিএনের যুগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় আইনের যে বিশেষ ধারা প্রয়োগ করে বিবিসি ডকুমেন্টারি নিষিদ্ধ করতে চাইছে তাতে কি আদৌ কাজ হবে?

বরং আপনি যত বাধা সৃষ্টি করতে চাইবেন, যত প্রতিবাদসূচক চিঠি লিখবেন, ততই মানুষ সেটি দেখার জন্য উৎসুক হয়ে উঠবেন।

শুক্রবার ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে 'দ্য মোদি কোশ্চেন' সরিয়ে ফেলা হয়। রোববার থেকেই ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছে। 
সূত্র: সমকাল


মন্তব্য