সংকটে পাকিস্তান, হাতে আছে মাত্র ১৮ দিনের রিজার্ভ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:২৪ PM , আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:৩১ PM

ভয়ংকর সংকটের মুখে পড়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে এসেছে ৩০৯ কোটি ডলারে। যা ১৯৯৮ সালের পর সর্বনিম্ন। এই অর্থ দিয়ে মেটানো যাবে মাত্র ১৮ দিনের আমদানি ব্যয়। সংকট উত্তরণে ঋণ পেতে আইএমএফ প্রতিনিধিদের সঙ্গে চলছে আলোচনা।
এ অবস্থায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলছেন, এই ঋণের শর্তে আরও কঠিন হবে পরিস্থিতি। তবে এর কোনো বিকল্পও ইসলামাবাদের হাতে নেই।
পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংকের মতে, শুক্রবার রুপির মান আবার কমেছে। স্থানীয় মুদ্রা আন্তঃব্যাংক বাজারে প্রতি ডলারের বিপরীতে ২৭৬.৫৮ রুপি দাঁড়ায়। বৃহস্পতিবার প্রতি ডলারের বিপরীতে রুপি ছিল ২৭১.৩৬, যা রুপির ইতিহাসে সর্বনিম্ন দাম। খোলা বাজারেও রুপির দাম কমেছে ০.১৮ শতাংশ। চলতি মাসে তা বাড়তে পারে আরও। এ অবস্থায় নিত্যপণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল এখন পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থান করছে। সংকট উত্তরণে আইএমএফ প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। এতে সফল হলে আইএমএফের ঋণের টাকা যেমন মিলবে, তেমনি অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকেও অর্থ পাওয়া সহজ হবে।
তবে, ৪ দিনের আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানালেন, পাকিস্তানকে আরও কঠিন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে আইএমএফ।
তিনি বলেন, 'আমাদের সম্পদ ফুরিয়ে আসছে। এই মুহূর্তে আমরা কল্পনাতীত সংকটের মধ্যে আছি। ঋণের জন্য আইএমএফের যেসব শর্ত দিচ্ছে, তা পূরণ করার মতো অবস্থায় আমরা নেই। তবে এর বিকল্পও কিছু নেই। বাধ্য হয়েই শর্তগুলো মানতেই হচ্ছে।'
ঋণ দিতে আয়কর ছাড় তুলে দেওয়া, জ্বালানিতে ভর্তুকি বন্ধসহ বেশকিছু শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। এসব প্রশ্নে সিদ্ধান্তে আসতে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আলোচনায় থাকছে ইসলামাবাদ।
এ অবস্থায় অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সর্বদলীয় সম্মেলনে পিটিআই প্রধান ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানান শাহবাজ। তবে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইমরান।
এদিকে আরিফ হাবিব লিমিটেদের গবেষণা প্রধান তাহির আব্বাস রয়টার্সকে বলেন, সংকট এড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন বিনিয়োগ এবং আইএমএফ কর্মসূচি পুনরায় শুরু করা প্রয়োজন।
দেশটির মুদ্রা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দিলেও পরিস্থিতি এখনো অনিশ্চিত থাকায় রপ্তানিকারক ও অন্যরা তাদের কাছে থাকা ডলার বাজারে বিক্রীতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
ব্যাংকাররাও বলছেন, রপ্তানিজনিত ডলারের প্রবাহ শুরু হলেও এর গতি কম।
সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট