তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৫১

ভূমিকম্প
  © সংগৃহীত

তুরস্ক-সিরিয়া ভূমিকম্প আপডেট: তুর্কি কর্তৃপক্ষ ১৫৪১ জন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, সিরিয়ায় আরও ৮১০ জন মারা গেছে। শক্তিশালী ভূমিকম্প উভয় দেশে হাজার হাজার ভবন ভেঙে পড়ার পর।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রাথমিক ৭.৮ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয় এবং পরে বেশ কয়েকটি আফটারশকের মধ্যে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে যে প্রাথমিক কম্পনটি একটি প্রধান শহর এবং প্রাদেশিক রাজধানী গাজিয়ানটেপ থেকে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার (২০ মাইল) কেন্দ্রে ছিল।

এদিকে এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত দেশ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়াকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তুরস্ক-সিরিয়ায় যেকোনো ধরনের সহায়তার জন্য তারা প্রস্তুত। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান এক বিবৃতিতে বলেন, তুরস্ক ও সিরিয়ায় আজকের ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পের খবরে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

ইউরোপীয় কমিশনার জেনেজ লেনারসিক টুইটারে বলেছেন, নেদারল্যান্ডস এবং রোমানিয়ার উদ্ধারকারী দলগুলো এরই মধ্যে রওয়ানা দিয়েছে। ইইউ’র ইমার্জেন্সি রেসপন্স কোঅর্ডিনেশন সেন্টার তাদের তদারকি করছে।

ভুক্তভোগী তুরস্ক ও সিরিয়াকে প্রয়োজনীয় জরুরি সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুটি দেশই রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, তার দেশ তুরস্ক ও সিরিয়াকে জরুরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

সোমবার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ৭৬ জন অনুসন্ধান ও উদ্ধার বিশেষজ্ঞকে তুরস্কে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিরিয়ায় যুক্তরাজ্যের অর্থসহায়তাপ্রাপ্ত সংস্থা হোয়াইট হেলমেট সিরিয়ায় উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়া, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ দুটিকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে আজারবাইজান, ইসরায়েল, জার্মানির মতো দেশগুলোও।