যে সমাবেশে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছিলো, এবার সেই সমাবেশের অনুমতি দিল না সুইডেন
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:২৫ PM , আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:২৫ PM

সুইডেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার বিরুদ্ধাচরণ করে ও পবিত্র কোরআন পোড়াতে চেয়ে স্টকহোমে সমাবেশের অনুমতি দিল না সুইডেন।
সুইডেনের ক্ষেত্রে এটি বিরল সিদ্ধান্ত। কারণ, সেদেশে গণতান্ত্রিক অধিকার মেনে কোনো সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় না। কিন্তু কিছুদিন আগেই এই ধরনের একটি সমাবেশে পবিত্র কোরআন পোড়ানো হয়। তারপর তুরস্ক জানিয়েছিল, তারা আর ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য সুইডেনকে সমর্থন করবে না। আর ন্যাটোর নিয়ম হলো, সব সদস্যদেশের সম্মতি ছাড়া নতুন কোনো দেশ সদস্য হতে পারবে না।
সুইডেনের নিরাপত্তা বাহিনী সাপো জানিয়েছে, জানুয়ারির সমাবেশের পর আবার এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সুইডেনের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। তাই তারা এই ধরনের প্রতিবাদের অনুমতি দেয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তুরস্ক দূতাবাসের সামনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় সুইডেনের নিরাপত্তার উপর বিপদ বেড়েছে। বিদেশেও সুইডেন ও সুইডিশদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হতে পারে। সুইডেনের বিরুদ্ধে আক্রমণ বাড়তে পারে।
জানুয়ারির ঘটনার পরই তুরস্ক জানিয়ে দেয়, ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য সুইডেনের সঙ্গে তারা কোনো আলোচনা করবে না। দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনাও তারা বাতিল করে দেয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জানিয়ে দেন, এরপর সুইডেনকে সমর্থন করার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি বলেন, পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা নিষিদ্ধ ঘোষণা না করলে সুইডেনকে সমর্থন করার কোনো প্রশ্নই নেই।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের সমাবেশের আয়োজক ছিলেন অতি দক্ষিণপন্থীরা। এই সমাবেশ মূলত সুইডেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার জন্য ডাকা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, সুইডেনের দূতাবাসের সামনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় ডেনমার্কেও পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে।