ভূমিকম্পে ১৭৮ ঘণ্টা আটকা থাকার পর ৬ বছরের শিশুকে জীবিত উদ্ধার

তুরস্ক-সিরিয়া
  © সংগৃহীত

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে জীবিত কাউকে পাওয়ার আশা ক্ষীণ হয়ে এলেও কোনোভাবেই যেন হাল ছাড়তে রাজি নন তুরস্ক ও সিরিয়ার উদ্ধারকারীরা। জীবন বাঁচানোর চেষ্টায় সব বাধা উপেক্ষা করে টানা অষ্টম দিনের মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এরই ধারাবাহিকতায় 

গতকাল সোমবারও ৬ বছরের শিশুসহ জীবিত উদ্ধার হয়েছে কয়েকজন।

ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত কাউকে উদ্ধারের পরপরই আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠছে চারপাশ। সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আনন্দে মেতে উঠছেন উদ্ধারকারীরা। অনেকের চোখে আবার আনন্দাশ্রু দেখা দিচ্ছে। চুমু খেয়ে শুকরিয়া আদায় করতেও দেখা গেছে উদ্ধারকারীদের

সোমবারও তুরস্কের আদিয়ামান শহরে এমনই এক অভাবনীয় ঘটনায় উদ্ধার হয়েছে ৬ বছর বয়সী শিশু মিরায়ের। ধ্বংসস্তুপের নিচে প্রায় ১৭৮ ঘণ্টা বা সাড়ে ৭ দিন আটকা থাকার পরও বেঁচে আছে সে। তার বড় বোনকেও পাওয়ার আশায় উদ্ধারকারীরা।

এর চার ঘণ্টা আগে, হাতায়ে শহরে ধসে পড়া ভবন থেকে উদ্ধার হন নাইদে উমায় নামের এক নারী। তারপর তাকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। তিনি শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

একই প্রদেশের আরেক ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে সোমবার উদ্ধার হন হাবিব নামের সিরীয় ব্যক্তি। তিনি সেখানে আটকা ছিলেন ১৭০ ঘণ্টা। উদ্ধারের পরপরই স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে দেখা যায় হাবিবকে। তারপর তাকে হাতায়ের ফিল্ড হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।

এদিকে, প্রায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ধসে পড়া এক ভবনের নিচ থেকে বের করে আনা হয় এক ব্যক্তিকে। সেখানে তিনি আটকা ছিলেন ১৬০ ঘণ্টা। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

টেলিগ্রাফের একটি ফুটেজে দেখা যায়, ছোট্ট এক শিশুকে ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করতে নিজের শরীরকেই স্ট্রেচার বানিয়েছেন এক উদ্ধারকারী।

এদিকে, হাতায়ে শহরে ধ্বংসস্তুপের নিচে ১২৮ ঘণ্টা আটকা ছিল ২ মাসের এক ছোট্ট শিশু। তবে, সে এখন পুরোপুরি সুস্থ। তার হাস্যোজ্জ্বল ভিডিও এরই মধ্যে মন জিতে নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের লাখো ব্যবহারকারীর।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট থেকে