২২২ ঘন্টা পর তুরস্কের  ধ্বংসস্তুপ থেকে মহিলাকে জীবিত উদ্ধার

তুরস্ক-সিরিয়া
উদ্ধার অভিযানের একটি দৃশ্য   © টুইটার থেকে

২২২ ঘন্টা পর দক্ষিণ তুর্কি শহর কাহরামানমারাসের একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪২ বছর বয়সী এক মহিলাকে  জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

টিভি ফুটেজে দেখা গেছে উদ্ধারকর্মীরা ওই মহিলাকে বহন করছে। তার নাম মেলিক ইমামোগ্লু।

তুরস্ক এবং সিরিয়ায় দুটি বিশাল ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হওয়ার ২১২ ঘন্টা পরে একটি ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ৭৭ বছর বয়সী একজন মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকালের অলৌকিক উদ্ধারগুলির মধ্যে এটি একটি। খবর আনাদলু নিউজ এজেন্সি। 

তুর্কি মিডিয়া জানিয়েছে যে ফাতমা গুঙ্গরকে সোমবার থেকে মঙ্গলবার রাতভর উদ্ধারের সময় আদিয়ামান শহরের একটি সাততলা অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল।

প্রায় নয় দিন একটি ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ আটকে ছিলেন ফাতমা গুঙ্গর।

এছাড়া সিরীয় কিশোর সেহের ঘানাম, ১৫, গতকাল তুরস্কের হাতায় প্রদেশে অন্তত নয়জন জীবিত পাওয়া একজন, যাকে  দুর্যোগের ২০৯ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়।

একই ভবন থেকে তার বাবা ফয়েজ ঘনামকে মুক্ত করার পরপরই সেহেরকে উদ্ধার করা হয়।

৭৭ বছর বয়সী গুঙ্গর যখন জরুরী পরিষেবা কর্মীরা স্ট্রেচারে করে একটি ফয়েল কম্বলে মুড়িয়ে, অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে চিকিতসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল, তখন তাকে আকাশের দিকে দুই হাতের আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করতে দেখা যায়। 

পরে, গুঙ্গোরের আত্মীয়রা সামরিক কর্মী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এএফএডি-এর সদস্যদের নিয়ে গঠিত উদ্ধারকারী দলকে জড়িয়ে ধরে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭.৮ ও ৭.৬ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

সূত্র: আল জাজিরা, দ্য ডেইলি মেইল


মন্তব্য