পরীক্ষার হলে হিজাব পরে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন

হিজাব
  © বিবিসি

হিজাব বিতর্কে গত বছর থেকে সারা ভারতে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কর্ণাটকে এক মুসলিম ছাত্রীকে উত্তক্ত্য করায় প্রতিবাদে আল্লাহু আকবর ধনি উচ্চারণ করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন ওই ছাত্রী। এরপর কয়েকটি প্রদেশে হিজাব পরে স্কুলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কর্ণাটকে পরীক্ষার হলে হিজাব পরে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন স্থানীয় মুসলিম ছাত্রীরা।

এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, খুব শিগগিরই এই মামলার শুনানিতে তিন বিচারপতির একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করা হবে।

আইনজীবী সাদান ফারাসত প্রধান বিচারপতিকে জানান, আগামী ৯ মার্চ কর্ণাটকের ওই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা। তখন পরীক্ষার হলে হিজাব পরে প্রবেশের সুযোগ নেই। কারণ, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরে প্রবেশ নিয়ে রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

তখন প্রধান বিচারপতি বলেছেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন। এর জন্য তিন বিচারপতির একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করবেন।

এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চে কর্ণাটকে হিজাব নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছিল। এক বিচারপতি বলেছিলেন, রাজ্যসরকার ওই ইউনিফর্ম নিয়ে নির্দেশ দিতে পারে। অন্যজন বলেছিলেন, হিজাব পরা না পরার বিষয়টি রাজ্যসরকার নির্ধারণ করতে পারে না। এরপর এই মামলার জন্য প্রধান বিচারপতি তিন বিচারপতির বেঞ্চ নির্ধারণ করেন।

এরও আগে একই বছর ২৩ জানুয়ারি হিজাব নিয়ে একই আবেদন করেছিলেন কয়েকজন ছাত্রী। তার জন্যও তিন বিচারপতির বেঞ্চ নির্ধারণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রথম ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কর্ণাটকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলিম নারীদের হিজাব পরে প্রবেশ নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল। সেখানে এক কলেজের ছাত্রীরা হিজাব পরে প্রবেশ করতে চাইলে এটাকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। পরে বিষয়টি আইনি মামলায় গড়ায়। একপর্যায়ে কর্ণাটক হাইকোর্টে ওঠে মামলা।

রাজ্যসরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করতেই অনেকে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলা আপাতত সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চে যেতে চলেছে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ