৩ ঘণ্টা হৃদস্পন্দন বন্ধ থাকা শিশুকে বাঁচালেন কানাডার ডাক্তার!

কানাডা
বেঁচে যাওয়া শিশু ওয়েলন সন্ডার্স  © সংগৃহীত

কানাডার ক্রেশে বসবাস করত ১ বছর ৮ মাস বয়সী শিশুটি। সকলের আড়ালে ক্রেশের সুইমিংপুলে পড়ে যায়। প্রবল ঠান্ডা জলে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় ডুবে ছিল। উদ্ধারকারী দল যখন তাকে পানি থেকে তোলে, ততক্ষণে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেছে। বন্ধ হয়েছে হৃদস্পন্দন।

এরপর শিশুটিকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছিল না প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। ওই অবস্থায় চিকিৎসক ও নার্সরা অবিশ্বাস্য কাজ করেন। একটানা ৩ ঘণ্টা সিপিআর (মুখ দিয়ে কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস চালানো) দেয়া হয় শিশুটিকে। ওই দীর্ঘ সময়ে বন্ধ ছিল শিশুটির হৃদস্পন্দন। আবিশ্বাস্যভাবে ৩ ঘণ্টা পর কাজ করা শুরু করে শিশুটির হৃদযন্ত্র। এই ঘটনায় উদ্ধারকারী দল, চিকিৎসক-সহ হাসপাতালের কর্মীদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে গোটা বিশ্ব।

অসাধ্য সাধনের এই ঘটনাটি ঘটে কানাডার দক্ষিণ-পশ্চিম অন্টারিওতে। গত ২৪ জানুয়ারি ‘ডে কেয়ারে’র সুইমিংপুলে পড়ে যায় ২০ মাস বয়সের ওয়েলন সন্ডার্স। তখন এলাকায় তাপমাত্র ছিল মাইনাসের নিচে। পাঁচ মিনিট ভয়ংকর ঠান্ডা পানিতে পড়েছিল শিশুটি। দমকলকর্মীরা উদ্ধার করে তাকে। দ্রুত শার্লট এলেনর এঙ্গেলহার্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও সেখানে ছিল না উপযুক্ত ব্যবস্থা।

এদিকে শিশুর হাত-পা তখন ঠান্ডা, বন্ধ হৃদস্পন্দন। এই অবস্থায় শিশুটিকে সিপিআর দিতে থাকেন চিকিৎসক এবং নার্সরা। একটানা ৩ ঘণ্টা বন্ধ ছিল শিশুর হার্ট। তারপরেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয় পালা করে সিপিআর দিতে থাকায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধারকারী দল হাসপাতালের পৌঁছানোর আগেই স্বাস্থ্যকর্মী তৈরি ছিলেন। এর পরই পালা করে সিপিআর চলে। ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় অসাধ্য সাধন হয়। কাজ করে শুরু করে শিশুর হৃদয়।

শার্লট এলেনর এঙ্গেলহার্ট হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ টেলর বলেন, ‘আগেই রুম হিটারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সকলে একরত্তি বাঁচানোর চেষ্টা লেগে পড়ে। এটা দলগত প্রচেষ্টার জয়।’ ৬ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় ওয়েলন সন্ডার্সকে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে সে। সূত্র: এপি।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ