০৩ মার্চ ২০২৩, ১৭:৩৪

নোবেল শান্তি বিজয়ী বেলারুশের মানবাধিকারকর্মীকে ১০ বছরের কারদণ্ড

বেলারুশিয়ান মানবাধিকারকর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি  © সিএনএন

বেলারুশিয়ান নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। 

 রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসের খবর অনুসারে, তাকে চোরাচালানের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। 

কর ফাকি দেওয়ার অভিযোগে ২০১১ সালে অ্যালেসকে প্রথম গ্রেফতার করা হয়। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। এই অভিযোগে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে তিনি কারামুক্তি পান।

নির্বাসিত বেলারুশিয়ান বিরোধী নেতা সভিয়াতলানা তিখানৌস্কায়া এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটা ‘ভয়াবহ’ ঘটনা। তিনি বলেন, ‘এই লজ্জাজনক অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে এবং তাদের মুক্ত করতে আমাদের যা কিছু প্রয়োজন অবশ্যই তার সবকিছু করতে হবে।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর শান্তির নোবেল ঘোষণা করা হয়। যৌথভাবে এই নোবেল পুরস্কার পান বেলারুশের মানবাধিকারকর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি, রাশিয়ার মানবাধিকার সংগঠন মেমোরিয়াল ও ইউক্রেনের মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস (সিজিএস)।

অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি বেলারুশের একজন মানবাধিকারকর্মী। তার বয়স ৬০ বছর। তিনি বর্তমানে দেশটির কারাগারে আছেন। এতোদিন বিচার-পূর্ব আটকাবস্থায় আটক ছিলেন তিনি। অ্যালেস দেশটির ভিয়াসনা হিউম্যান রাইটস সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা। মানবাধিকার সংগঠনটি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বেলারুশের রাজপথে বিক্ষোভকারীদের ওপর দেশটির কর্তৃত্ববাদী নেতা আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর নৃশংস দমন-পীড়নের প্রতিক্রিয়ায় মানবাধিকার সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

অ্যালেস সম্পর্কে নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটি বলেন, তিনি তার দেশে গণতন্ত্র ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। বেলারুশে কারচুপির নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের জেরে ২০২০ সালে অ্যালেসকে আবার আটক করা হয়। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থেকে যান লুকাশেঙ্কো। নোবেল পুরস্কার প্রদানের সময় নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির চেয়ার বেরিট রেইস-অ্যান্ডারসেন বলেছিলেন, অ্যালেস বেলারুশে মানবাধিকারের জন্য তার লড়াইয়ে এক ইঞ্চিও ছাড় দেননি।

সূত্র: সিএনএন