বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির বিরুদ্ধে করা মামলায় বেঞ্চ গঠনে সম্মত সুপ্রিম কোর্ট
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৩, ০২:২৪ PM , আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৩, ০২:২৪ PM

বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা মামলার শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠনে সম্মতি দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমা ও জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ আজ বিলকিস বানোকে আশ্বস্ত করেছেন বেঞ্চ গঠনের বিষয়ে। মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আমি একটি বেঞ্চ গঠন করব। আজ সন্ধ্যায় এই বিষয়টির দিকে নজর দেব আমি।' এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই মামলায় বেঞ্চ গঠনে সম্মত হল শীর্ষ আদালত।
এর আগে বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী। এরপরই নতুন করে বেঞ্চ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। (আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের ভোটকর্মীদের নিয়ে নির্দেশিকা কমিশনের, কী করবেন ডিএ আন্দোলনকারীরা?)
প্রসঙ্গত, বিলকিস বানোর গণধর্ষকদের গত ১৫ অগস্ট মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে বিতর্ক চরমে। সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য সুভাষিণী আলি, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং অন্য একজন আদালতে এই ১১ জনের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের মার্চ মাসে দাহোদ জেলায় লিমখেড়া তালুকায় রাধিকাপুর গ্রামে একদল দুষ্কৃতী বিলকিস বানোর পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছিল। গণধর্ষণ করা হয় বিলকিসকে৷ তাঁর পরিবারের ৭ জন সদস্যকে খুন করা হয়। পরিবারের অন্য ৬ জন সদস্য পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন। পরে ২০০৪ সালে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। মুম্বইয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি ১১ ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছিল। পরবর্তীকালে সেই সাজার মেয়াদ বহাল রেখেছিল বম্বে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট।
তবে গতবছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকার পঞ্চমহলের কালেক্টর সুজল মায়াত্রার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দোষীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে। সর্বসম্মতিক্রমে কারাবাসের সময় হ্রাসের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় কমিটিতে। সেই মতো স্বাধীনতা দিবসের দিন দোষীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। সাজাপ্রাপ্তদের আগাম মুক্তি দেওয়ার পর প্রকাশ্যে তাদের মালা পরানো হয়েছিল। দেওয়া হয়েছিল সংবর্ধনা। মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করে বিলকিস দাবি করেছিলেন, শীর্ষ আদালতের নিয়ম লঙ্ঘন করে ওই ১১ জন ধর্ষককে ছেড়ে দিয়েছে গুজরাট সরকার। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অবশ্য সুভাষিণী আলি, মহুয়া মৈত্রদের মামলা গ্রহণ করে শীর্ষ আদালত।