নামাজে ইমামতি করলেন স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৩, ০২:২২ PM , আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৩:১৮ PM

স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন হামজা ইউসুফ। সেই সঙ্গে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির সর্বকনিষ্ঠ নেতাও।
সোমবার ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনসি) নেতা নির্বাচিত হন। আর দলীয় প্রধান হিসেবে তিনিই স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার (প্রধানমন্ত্রী বা সরকারপ্রধান)। এর পর মঙ্গলবার স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার হিসেবে শপথ নেন তিনি।
ইয়ানি শাফাক জানিয়েছে, মঙ্গলবার ফার্স্ট মিনিস্টার হিসেবে শপথ নেওয়ার পর স্কটিশ নেতার সরকারি বাসভবন বুট হাউসে উঠেছেন। সরকারি বাসভবনে প্রথম রাতেই নামাজে ইমামতি করেন তিনি।
আরও পড়ুন:- ফিলিপাইনে ফেরিতে আগুন, ১২ জনের মৃত্যু
সরকারি বাসভবনে প্রথম রাতের কিছু ছবি সামাজিকমাধ্যমে শেয়ার করেছেন হামজা নিজেই।
টুইটারে শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, ইউসুফ তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসে আছেন। ইউসুফের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তার বাবা মুজাফফর ইউসুফ, মা শায়েস্তা ভুট্ট, স্ত্রী নাদিয়া এবং দুই মেয়ে।
অপর একটি ছবিতে তাকে নামাজে ইমামতি করতে দেখা যায়।
পোস্টে হামজা ইউসুফ লিখেছেন, ‘আজকের সংসদীয় ভোটের পর আমার পরিবার এবং আমি আমাদের প্রথম রাত বুট হাউসে কাটাচ্ছি। একটি বিশেষ মুহূর্ত, যা প্রথা অনুযায়ী একসঙ্গে ইফতারের পর বুট হাউসে আমার পরিবারের সদস্যদের প্রার্থনায় নেতৃত্ব দেওয়া’।
আরও পড়ুন:- ডোকলাম নিয়ে ভুটানের মন্তব্যে ভারতের উদ্বেগ
স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টারের সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে দুনিয়াজুড়ে বিশেষ করে পাকিস্তানসহ মুসলিম দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
৩৭ বছর বয়সি এ মুসলিম স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) তরুণ নেতা। ইউসুফের বাবা পাকিস্তানের নাগরিক। অন্যদিকে, তার মা কেনিয়াতে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ সালে তার দাদা-দাদি পাকিস্তান থেকে ব্রিটেনে পাড়ি জমান। যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে জন্ম নেন হামজা ইউসুফ।
আরও পড়ুন:- আবারও ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
২০১১ সালে তিনি প্রথমবার দেশটির এমপি নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি ইংরেজি ও উর্দুতে শপথ নেন।
২০১২ সালে স্কটিশ সরকারের একজন জুনিয়র মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন ইউসুফ। সেই সময়ে স্কটল্যান্ডে নিযুক্ত হওয়া সর্বকনিষ্ঠ এবং প্রথম জাতিগত সংখ্যালঘু মুসলিম মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। এর পর ২০১৮ সালে বিচারবিষয়ক সচিব (সেক্রেটারি ফর জাস্টিস) হয়ে মন্ত্রিসভায় যোগ দেন এবং ২০২১ সালের মে মাসে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে নিযুক্ত হন।