১৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৮:২১

জেলেনস্কির বিরুদ্ধে ৪০০ মিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ

ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি  © সংগৃহীত

ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ৪০০ মিলিয়ন ডলার আত্মসাদের অভিযোগ উঠেছে। ডিজেল কেনার জন্য বিদেশী সহায়তার অংশ হিসেবে এই অর্থ ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছিল। 

গত বুধবার মার্কিন সাংবাদিক সেমুর হার্শ তার ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বেশ কয়েকটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে হার্শ তার ওয়েবসাইটে দাবি করেছেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এবং তার সঙ্গীদের অনেকেই ডিজেল জ্বালানি অর্থ পরিশোধের জন্য নির্ধারিত মার্কিন ডলার থেকে অগণিত মিলিয়ন অর্থ সরিয়ে ফেলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিশ্লেষকদের অনুমান, গত বছর আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ অন্তত ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ’

হার্শের সূত্র অনুসারে, কিয়েভে দুর্নীতির মাত্রা ‘আফগান যুদ্ধের কাছাকাছি, যদিও ইউক্রেন থেকে কোনও পেশাদার অডিট রিপোর্ট আসবে না’।

এছাড়া হার্শের সূত্র মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানকে মার্কিন সরকারের চলমান সংকটের জন্য দায়ী করেছে। মূলত হোয়াইট হাউস এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে মতবিরোধের সম্মুখীন হয়েছে মার্কিন সরকার।

হার্শের সূত্রের বরাত দিয়ে রাশিয়ান টেলিভিশন আরটি জানিয়েছে, শীর্ষ এই দুই মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক কর্মকর্তা ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে ‘কঠোর মতাদর্শ এবং রাজনৈতিক দক্ষতার অভাব’ দেখিয়েছেন।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। আর তারপর থেকেই ইউক্রেনকে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা ইউক্রেনকে আরও ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র ও সরঞ্জাম পাঠাবে। ইউক্রেনের বাখমুত শহরের নিয়ন্ত্রণের জন্য রাশিয়ান বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় এই সহায়তা দেওয়া হবে।
সূত্র: তাস