জাপানের প্রধানমন্ত্রীর ওপর ‘স্মোক বোমা’ হামলা

জাপান
আটককৃত সন্দেহভাজন  © আল জাজিরা

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ওপর 'স্মোক বোমা' হামলা করা হয়েছে। তবে এ বোমা হামলার পর কিশিদাকে অক্ষত অবস্থায় নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর বিবিসির।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) জাপানের পশ্চিমের শহর ওয়াকাইয়ামাতে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তার ওপর এই বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াকায়ামার সাইকাজাকি মৎস্য বন্দরে খোলা জায়গায় বক্তব্য দেওয়ার সময় কিশিদাকে লক্ষ্য করে 'স্মোক বোমা' ছোড়া হয়। সেসময় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়।

এতে আরও বলা হয়, এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তাকর্মীরা ঘিরে ফেলেন। তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় একটি উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন এলডিপি প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে ঐ জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন কিশিদা।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, হামলায় পর ঘটনাস্থল থেকে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে নিরাপত্তারক্ষীরা গ্রেপ্তার করেছে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি এক ব্যক্তিকে কিছু একটা ছুঁড়তে দেখেছিলেন। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে থাকা আরেক ব্যক্তি জানান, তিনি একটি তীব্র আওয়াজ শুনেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, নিরাপত্তারক্ষীরা একজন ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি স্বীকার করা হলেও এ সম্পর্কে বিস্তারিত মন্তব্য করা হয়নি।

জাপানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এনএইচকে-তে এ হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে মানুষের দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার একটি দৃশ্য সম্প্রচার করা হয়েছে।

একইসাথে পুলিশ এ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করছে বলেও জানানো হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, হামলার স্বীকার হলেও প্রধানমন্ত্রী কিশিদা দিনের বাকি সময় শিডিউল অনুযায়ীই নিজের কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।

এ হামলার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কিশিদার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য হিরোশি মরিয়ামা বলেন, "নির্বাচনী ক্যাম্পেইন পরিচালনার সময় এমন ঘটনা সত্যিই ন্যাক্কারজনক। এটি ক্ষমার অযোগ্য নৃশংসতা।"

জাপানে রাজনৈতিক হামলার ঘটনা একেবারে নেই বললেই চলে। কিন্তু গতবছর দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে গুলি করে হত্যার পর রাজনীতিবিদদের মধ্যে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

আবে'র পর আজ প্রধানমন্ত্রী কিশিদার ওপর এই হামলা এই উদ্বেগকে বাড়িয়ে দেবে বহুগুণে।

ভিডিও লিংক এখানে


মন্তব্য