সুদানে সেনাবাহিনী-প্যারামিলিটারি সংঘর্ষ, নিহত ২, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখল

সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) বলেছে, তারা শনিবার প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ, সেনাপ্রধানের বাসভবন এবং খার্তুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ক্রমবর্ধমান ক্ষমতার লড়াইয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর তারা এ ঘোষণা দেয়। খবর  রয়টার্স।

বিবিসি এক রিপোর্টে জানিয়েছে, সুদানের খার্তুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি যাত্রীবাহী বিমানে হামলা চালানো হয়েছে। এতে অন্তত দু’জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। তবে এ হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউ।

আরএসএফ এক বিবৃতিতে আরো বলেছে, তারা উত্তরের শহর মেরোওয়ে এবং পশ্চিমে এল-ওবেইদের বিমানবন্দর দখল করেছে।

এর আগে খার্তুমের বেশ কিছু অংশে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায় এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা পার্শ্ববর্তী শহরগুলোতে গুলি চালানোর কথা জানিয়েছেন।

রয়টার্সের একজন সাংবাদিক রাস্তায় মোতায়েন করা কামান এবং সাঁজোয়া যান দেখার কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনী ও আরএসএফ—উভয়ের সদর দপ্তরের কাছে ভারী অস্ত্রের গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন।

সেনাবাহিনী বলেছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা দেশের একাধিক স্থানে প্রচণ্ড বন্দুকযুদ্ধের খবর পাওয়ার পর আরএসএফ বেশ কয়েকটি অবস্থানে তাদের সৈন্যদের আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল, যা একটি পূর্ণ প্রস্ফুটিত সংঘাতের আশঙ্কা জাগিয়েছে। অন্যদিকে আরএসএফ বলেছে, তাদের বাহিনীকে সেনাবাহিনী আক্রমণ করেছে।

এর আগে আরএসএফের নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক মিলিশিয়া নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো, যিনি হেমেদতি নামে বেশি পরিচিত, তিনি বলেছিলেন, সেনাবাহিনী তাদের একটি ঘাঁটি ঘেরাও করেছে এবং ভারী অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছে।

সেনাবাহিনী এবং শক্তিশালী আধাসামরিক গোষ্ঠী আরএসএফের মধ্যে কয়েকদিনের উত্তেজনার পর এই সহিংসতার ঘটনা ঘটল।