২৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৭:৪১

৬৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রে পানামার পাতাকাবাহী জাহাজ

মাতারবাড়িতে প্রথম কয়লা নিয়ে আসা পানামার পতাকাবাহী জাহাজ  © সংগৃৃহীত

৬৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা ‘অউসো মারো’ নামে পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ভিড়ছে মাতারবাড়ীতে। এটি ২২৯ মিটার দীর্ঘ, ড্রাফট ১২ দশমিক ৫ মিটার। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ। একই সঙ্গে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য প্রথম কয়লা নিয়ে আসা জাহাজ।

আজ মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জাহাজটি মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে আনা হয়। জাহাজটি বহির্নোঙর থেকে আনার সময় পাইলটেজ টিমে ছিলেন বন্দরের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমোডর ফজলুর রহমান, ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম, ক্যাপ্টেন জহির, মেইন পাইলট ক্যাপ্টেন কামরুল এবং কো-পাইলট ক্যাপ্টেন শামস।

সূত্র জানায়, ২২৯ মিটার দীর্ঘ ও ১২ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের কোনো জাহাজ এর আগে দেশে ভিড়েনি। সমুদ্র থেকে ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩৫০ মিটার চওড়া কৃত্রিম চ্যানেলের মধ্য দিয়ে জাহাজটি জেটিতে আনা হয়। ইতিমধ্যে এ জেটিতে ১১২টি জাহাজ জেটিতে ভিড়লেও সেগুলোতে ছিল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উপকরণ।

মাতারবাড়ীতে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ ভিড়েছে জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘২২৯ মিটার দীর্ঘ ও ১২ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের গভীরতা) পানামার পতাকাবাহী এমভি ‘অউসো মারো’ মাতারবাড়ীতে ভিড়েছে। এটি বন্দরের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এর আগে দেশে এত বড় ও গভীরতার জাহাজ ভিড়েনি।

চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে এখন সর্বোচ্চ ১০ মিটার ড্রাফট ও ২০০ মিটার দীর্ঘ জাহাজ আনার সুযোগ আছে। পায়রা বন্দরেও চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ভিড়েছে ১০ দশমিক ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ। কিন্তু ‘অউসো মারো’র মতো দীর্ঘ ও ড্রাফটের জাহাজ এটাই প্রথম।

কোল পাওয়ার জেনারেশন কম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) অধীনে জাপানের তিনটি প্রতিষ্ঠানের একটি কনসোর্টিয়াম বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে। এই প্রকল্পের আওতায় ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি স্টিম টারবাইন, সার্কুলেটিং কুলিং ওয়াটার স্টেশন স্থাপন, ২৭৫ মিটার উচ্চতার চিমনি ও পানি শোধন ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে।