পাকিস্তান আর্মির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ: সীমান্তে অতিরিক্ত সতর্কতা ভারতের

ইমরান খান
ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর সেদেশের নারীরাও আন্দোলনে নামে  © এনপিআর

বিগত সাড়ে সাত দশক ধরে কোনও নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। অধিকাংশ রাষ্ট্রপ্রধানই দেশ থেকে নির্বাসিত হয়েছেন বা অস্বাভাবিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। এই আবহে ইমরান খানের গ্রেফতারির পর নজিরবিহীন দৃশ্য দেখা গিয়েছে সেদেশে।

যে দেশের সবকিছু কার্যত সেনাবাহিনী চালিয়ে এসেছে এতবছর ধরে, সেই দেশেই সেনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু হয়েছে। গতকাল পাকিস্তানের একাধিক শহরে সেনার উচ্চপদস্থ সেনা কর্তাদের বাসভবনে হামলা চালানো হয়েছে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেকের বাড়িতেই। এদিকে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানি সেনার সদর দফতরের ফটক ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েছিলেন আম জনতা। এই আবহে কী ভাবছে ভারত?

আরও পড়ুন:- ইমরান খানকে গ্রেপ্তারে রণক্ষেত্র পাকিস্তান, জনগণের ওপর ওপেন ফায়ার

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার এক খবরে বলা হয়, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানের অস্থির পরিস্থিতির আবহে সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারত। ভারতের পড়শি রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা নতুন কোনও বিষয় নয়। তবে এর আগে কখনই রাজনৈতিক আন্দোলনের আঁচ সেনার ওপর গিয়ে পড়েনি। এভাবে সরাসরি সেনার বিরুদ্ধে পিটিআই সমর্থকরা তাই রাস্তায় নামায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে।

এই আবহে ভারতের আশঙ্কা, দেশের অস্থির পরিস্থিতির থেকে নজর ঘোরাতে নিয়ন্ত্রণ রেখায় সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করতে পারে পাকিস্তান সেনা। আম জনতার রোষ থেকে বাঁচতে ভারতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে পাকিস্তান বাহিনী। এই আবহে যাতে কোনও ভাবেই সীমান্তে উত্তেজনা না ছড়ায় এবং জঙ্গি কার্যকলাপ রোধ করা যায়, এর জন্য কড়া নজরদারি রেখে চলেছে ভারত।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ইসলামাবাদ স্থানীয় সময় দুপুর দুইটায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতা ইমরান খানকে দুর্নীতির এক মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এর পরই পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে।


মন্তব্য