জাতিসংঘ মানবাধিকার সামাজিক ফোরামের সভাপতি নির্বাচিত হলো ইরান: আমেরিকার অসন্তোষ

জাতিসংঘ
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল; ইনসেটে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট  © ফাইল ছবি

জেনেভায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধি আলী বাহরেইনি ২০২৩ সালের মানবাধিকার কাউন্সিলের সামাজিক ফোরামের ১৯ তম অধিবেশনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের (UNHRC) সোশ্যাল ফোরাম একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। ২০০২ সালে মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রম চলাকালে এই ফোরামটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট বিষয় নির্বাচন করে তার বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যালোচনা করা হয় এই ফোরামে। মানবাধিকারের বৈশ্বিক পরিস্থিতি, উদ্বেগ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার বিষয়গুলো এই ফোরামে বিভিন্ন দিক থেকে পর্যালোচনা করা হয়।

আরও পড়ুন:- সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে চায় এরদোগান: চিন্তিত আমেরিকা

চলতি ২০২৩ সালের ২ ও ৩ নভেম্বরে জেনেভায় এই ফোরামের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের অধিবেশনের প্রতিপাদ্য হলো মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নয়া উদ্ভাবনীর ভূমিকা। বিশেষ করে করোনা মহামারী থেকে পুনরুদ্ধারের বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে। ওই অধিবেশনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞগণ, আন্তর্জঅতিক স্কলারগণ, সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিবর্গ অংশ নেবেন বলে কথা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই অধিবেশনের সভাপতি হিসেবে প্রথমবারের মতো ইরান নির্বাচিত হলো। ইরানের সভাপতি হবার বিষয়টি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।

আরও পড়ুন:- দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত!

প্রথম বার্তাটি হলো আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ করা এবং ইরানকে কোনঠাসা করার নীতি ব্যর্থ হয়েছে। গেল শরতে ইরানের অভ্যন্তরে নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে আমেরিকা ও ইউরোপ চেয়েছিল আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে কাজে লাগিয়ে বিশৃঙ্ক্ষলা সৃষ্টিকারীদের সহযোগিতা করে ইরানকে চাপে রাখতে। ওই নৈরাজ্যকে কাজে লাগিয়েই নারী অধিকার কমিশন থেকে ইরানের সদস্যপদ প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এখন ইরান সোশ্যাল ফোরামের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় এটা স্পষ্ট হয়ে গেল যে পশ্চিমাদের চাপ প্রয়োগের কৌশল ব্যর্থ হয়েছে।

আরও পড়ুন:- প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান কি নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারবেন?

দ্বিতীয় বার্তাটি হলো ইরানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পশ্চিমা অভিযোগও নাকচ হয়ে গেল। তৃতীয় বার্তাটি কূটনৈতিক। তা হলো সাধারণত আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থায় নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক দেশগুলো ইরানের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। এবার সৌদিআরবসহ এশিয় দেশগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে ইরানের পক্ষে রায় দিয়েছে। এটা পশ্চিম এশিয়ায় নয়া পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সঙ্গত কারণেই ইরানের সভাপতি নির্বাচিত হবার ঘটনায়  অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।-পার্স টুডে


মন্তব্য