ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে মিয়ানমারে অন্তত ৬০ জন নিহত

আন্তর্জাতিক
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে মিয়ানমারে অন্তত ৬০ জন নিহত  © সংগৃৃহীত

প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে মিয়ানমারে মঙ্গলবার পর্যন্ত অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতওয়ের বাসিন্দা। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইরাবতি’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় মোখা গত রোববার মিয়ানমারের রাখাইন ও চিন রাজ্য ছাড়াও সাগাইং ও ম্যাগওয়ে অঞ্চলে আঘাত হানে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ ছিল ‘ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার’। এতে বিদ্যুৎ লাইন ভেঙে পড়েছে। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। বিধ্বস্ত হয়েছে অনেক বাড়িঘর।

পড়ুন>>> মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের আড়াই লাখ ডলার সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

পার্শ্ববর্তী থেত কে পাইন গ্রামের শিক্ষক ইউ থেইন শোয়ে বলেছেন, এই ঝড়ে সিতওয়ের কাছের ক্যাম্পগুলোতে প্রায় ৪০ জন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা মুসলমান মারা গেছে।

তিনি বলেন, সান পিয়া, যা বাসারা নামেও পরিচিত, ক্যাম্পে ঘূর্ণিঝড়ে কারণে বৃষ্টির পানিতে পাঁচজন মারা গেছে। অন্য দুটি ক্যাম্প সম্পূর্ণভাবে ভেসে গেছে এবং আমরা কমপক্ষে ২০টি মরদেহ পেয়েছি। এ ছাড়াও এখনও প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছে কিংবা সম্ভবত তারাও মারা গেছে।

ওই ব্যক্তি আরও জানান, তিনি তার গ্রামের বাইরে ১৫টি মরদেহ দেখেছেন। এ ছাড়া বায়দা গ্রামের প্রায় ১১০ জন এবং দার পাই গ্রামের আরও ২০০ রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে।

এদিকে মিয়ানমারের সেনা-নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম মঙ্গলবার জানিয়েছে, রাথেদাউং এলাকার একটি গ্রামে একটি মঠ ধসে পড়েছে। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পার্শ্ববর্তী গ্রামে একটি ভবন ধসে নারী নিহত হয়েছে। পাশাপাশি পন্নাগিউন এলাকাতেও একজন নিহত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়াও রোববার রাতে সাগাইং অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় মোখায় কমপক্ষে তিনজন এবং ম্যাগওয়ে অঞ্চলের সালিন এলাকায় আরও তিনজন নিহত হয়েছে।

সাগাইং অঞ্চলের স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ওই এলাকার প্রায় ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সেখানে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় পুরুষের মরদেহ পানিতে ভা


মন্তব্য