২৮ মে দ্বিতীয় রাউন্ড নির্বাচনে এরদোগানের জেতার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ: জরিপ

তুরস্ক
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এরদোগান ও কিলিচদারোগলু  © মিডেই নিউজ

আগামী ২৮ মে রবিবার তুরস্কে ঐতিহাসিক রানঅফ তথা দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে অবশিষ্ট একটি সপ্তাহ দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এবং বিরোধী জোটের প্রার্থী কামাল কিলিচদারোগ্লু উভয়ের জন্যই নিঃসন্দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যে রানঅফ নিয়ে একাধিক জরিপের ফলাফলও চলে এসেছে। যেখানে ক্ষমতাসীন নেতার বিজয়ের সম্ভাবনাই বেশি দেখা যাচ্ছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা যায়, তুরস্কের দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচন নিয়ে একটি জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছে ইউরেশিয়া গ্রুপ কনসালটেন্সি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা দেখিয়েছে, আগামী রবিবারের রানঅফ নির্বাচনে এরদোগানের জয়ের সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ।

এ বিষয়ে ভেরিস্ক ম্যাপলক্রফ্ট নামক পরামর্শক সংস্থার হামিশ কিনয়ার মনে করছেন, দ্বিতীয় রাউন্ডে কিলিচদারোগ্লুর জন্য জয়লাভ করা একটি কঠিন লড়াই হবে।

আরও পড়ুন:- তুরস্কের জনগণ নিরাশ করবে না, আশা এরদোগানের

ঐতিহাসিক এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে নিজের টানা শাসনামলের তৃতীয় দশকে পা রাখার অপেক্ষায় রয়েছেন ৬৯ বছর বয়সি এরদোগান। রোববার দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে উতরে গেলে তার ইসলাম-কেন্দ্রিক শাসন ২০২৮ সাল পর্যন্ত বর্ধিত হবে। বিশেষ করে যখন জনপ্রিয়তার দিক থেকে প্রতিপক্ষের চেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছেন তিনি।

অপরদিকে ধর্মনিরপেক্ষ নেতা কামাল কিলিকদারোগ্লু ১৪ মে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোগানের প্রভাবশালী যুগে বিরোধীদের মধ্যে সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন।

কুর্দি আলেভি বংশোদ্ভূত অবসরপ্রাপ্ত এই আমলা প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। জাতিগত বাধা এবং মিডিয়া ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের উপর এরদোগান প্রশাসনের ব্যাপক নিয়ন্ত্রণকে ডিঙিয়েই এই পারফরম্যন্স দেখিয়েছেন ৭৪ বছর বয়সি এই রাজনীতিক।

এরদোগান প্রথম রাউন্ডে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ থেকে খুব সামান্য পেছনে ছিলেন। তিনি পেয়েছিলেন ৪৯ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট।

সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল- ১৯৯০ এর দশকের পর প্রথমবারের মতো তুরস্কে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কট বিরাজ করছে। তাছাড়া অনেক মতামত জরিপে দেখানো হয়েছিল যে, টানা ২০ বছর তুরস্ক শাসন করা এরদোগান এবারই প্রথম জাতীয় নির্বাচনে পরাজয়ের দিকে যাচ্ছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তুর্কি জনগণের বেশির ভাগের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন তিনি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অবস্থায় কিলিচদারোগ্লুকে তুরস্কের ক্ষমতার মসনদে বসতে হলে এখন তার জনসমর্থন আরও বাড়াতে হবে। ছয় জোটের ‘বিচ্ছিন্ন’ নেতাকর্মীকে আরও সংগঠিত করতে হবে। সর্বোপরি গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ইসলামিক রীতিতে শাসন করা ব্যবস্থার ওপর জয়ী হতে হলে অনেক প্রতিকূলতাকে পরাজিত করতে হবে।


মন্তব্য