ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে যুদ্ধ চলছে রাশিয়ায়

রাশিয়া
  © সংগৃহীত

ইউক্রেন যুদ্ধের বারুদ এবার ছড়াল রাশিয়ার অভ্যন্তরে। রাশিয়ার সীমান্ত এলাকা বেলগোরদ কেঁপে উঠছে একের পর এক বিস্ফোরণে। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে লোকজন পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

রাশিয়া বলছে, ইউক্রেন থেকে একটি সশস্ত্র দল সোমবার সীমান্ত পার হয়ে রাশিয়ায় ঢুকে পড়ে। রাশিয়ার সেনারা সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এখনও অঞ্চলটিতে সংঘর্ষ চলছে।

এদিকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার দায় স্বীকার করেনি ইউক্রেন। দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, নিজেদের ভূমিতে তারা প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। বেলগোরদে হামলাকারী গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই। রাশিয়ার দুটি আধাসামরিক বাহিনী সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে।

অঞ্চলটির গভর্নর ভিচেস্লাভ গ্লাদকোভ মঙ্গলবার বিবিসিকে জানান, অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে, তবে কেউ নিহত হননি। রাতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ ভবনগুলোর মধ্যে রাশিয়ার প্রধান নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবির একটি ভবন রয়েছে।

গভর্নর আরও জানান, হামলার পর সীমান্তের গ্রামগুলো থেকে বাসিন্দারা পালিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। রাশিয়ার সেনাবাহিনী হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরুর পাশাপাশি লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে।

তিনি আহ্বান করেন, যাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে, তারা যেন এখনই বাড়িঘরে ফিরে না আসেন। 

বর্তমানে বেলগোরদের পরিস্থিতি খুবই উত্তেজনাকর বলে জানিয়েছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এদিকে বেলগোরদে হামলাকারীদের নির্মূলে মরিয়া হয়ে উঠেছে মস্কো। সেখানে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযানে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সেনাদের বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

ইউক্রেন যা বলছে

ইউক্রেন দাবি করছে, দেশটি নিজেদের ভূখণ্ড শত্রুমুক্ত করতে প্রতিরোধ অব্যাহত রেখেছে। বেলগোরদে হামলায় ইউক্রেনের সেনারা জড়িত নয়।

এ হামলায় রাশিয়ার নাগরিকদের সংগঠন লিবার্টি অব রাশিয়া লেজিওন এবং দি রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কর্পস জড়িত। লিবার্টি অব রাশিয়া লেজিওন ইউক্রেনভিত্তিক মিলিশিয়া বাহিনী। এরা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উৎখাত করতে চায়।

সোমবার এক টুইট বার্তায় সংগঠনটি দাবি করেছে, সীমান্ত শহর কোজিঙ্কা তাদের নিয়ন্ত্রণে। অপরদিকে গ্রেভোরন শহরের কাছাকাছি তাদের অগ্রবর্তী দল পৌঁছে গেছে।

পুতিনের মুখপাত্র ডিমিত্রি পেসকভ বলেন, হামলাকারীরা ইউক্রেনের সন্ত্রাসী। বাখমুত থেকে নজর ফেরাতে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা করা হয়েছে।

সম্প্রতি ওয়াগনার গ্রুপ বাখমুত দখলে নেয়ার দাবি করে। বাখমুতে ওয়াগনার গ্রুপের ধ্বংসযজ্ঞ স্বীকার করলেও অঞ্চলটি রক্ষায় এখনও যুদ্ধ চলছে বলে জানায় কিয়েভ।


মন্তব্য