পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে হাজির করা কে এই খাদিজা শাহ?

পাকিস্তান
জিন্নাহ হাউসে হামলার প্রধান সন্দেহভাজন খাদিজা শাহ  © সংগৃৃহীত

লাহোর কর্পস কমান্ডার হাউস তথা জিন্নাহ হাউসে হামলার প্রধান সন্দেহভাজন খাদিজা শাহকে আজ বুধবার সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে (এটিসি) হাজির করার কথা জানিয়েছে পাকিস্তানি পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতারের পর মহিলা থানায় স্থানান্তর করা হয়।

পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এ খবর দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্যাশন ডিজাইনার খাদিজা শাহর অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করবেন পুলিশ সুপার (এসপি) আনুশ মাসুদ।

একদিন আগে মঙ্গলবার পাঞ্জাব পুলিশ তাকে গ্রেফতাররে বিষয়টি নিশ্চিত করে। তিনি নিজেকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থক বলে দাবি করেছেন।

খবরে বলা হয়েছে, তার  স্বামী এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার করা সত্ত্বেও পিটিআইয়ের এই সমর্থক প্রশাসনের কাছে নিজেকে সমর্পণ করেননি। পরে তাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানি পুলিশ।

পৃথক এক প্রতিবেদনে জিও নিউজ জানিয়েছে, লাহোরের জিন্নাহ হাউজে হামলার প্রধান সন্দেহভাজন খাদিজা শাহ হচ্ছেন ড. সালমান শাহের মেয়ে। সালমান পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের অর্থবিষয়ক দলের সদস্য ছিলেন। 

খাদিজা শাহের বিরুদ্ধে ৯ মে হামলার সময় লাহোর কর্পস কমান্ডার হাউজে হামলার নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। রোববার পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের হেফাজতে নেওয়ার পর তিনি আত্মসমর্পণের ঘোষণা দেন। 

যদিও পুলিশ যখন তার বাড়িতে অভিযান চালায় তখন তিনি পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। 

১৬ মিনিটেরও বেশি দীর্ঘ এক অডিও বার্তায় খাদিজা শাহ স্বীকার করেছেন, তিনি পিটিআই সমর্থক এবং লাহোর কর্পস কমান্ডার হাউজের বাইরে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। তবে মানুষকে সেখানে সহিংসতায় প্ররোচিত করাসহ কোনো ধরনের অন্যায় কাজ করার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। 

অডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছি। আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ গত ৫ দিন আমার জন্য খুব কঠিন ছিল।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘তারা (কর্তৃপক্ষ) মধ্যরাতে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে এবং আমার স্বামী ও বাবাকে অপহরণ করে। তারা আমাদের সন্তানদের সামনে আমার স্বামীকে মারধর করেছে... আমার গৃহকর্মীরাও নির্যাতনের শিকার হয়েছে।’ 

পিটিআইয়ের এই সমর্থক কোনো আইন লঙ্ঘন করেননি জানিয়ে বলেছেন, তিনি গত এক বছরে পিটিআইয়ের অনেক বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। 

দ্বৈত নাগরিক হওয়ার কথা জানিয়ে খাদিজা বলেছেন, তিনি মার্কিন দূতাবাস থেকে সাহায্য পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে এই বিষয়ে আরও বিশদ বিবরণ দেননি তিনি। 

খাদিজা বলেন, ‘পাঞ্জাব সরকার আমার বিরুদ্ধে বলছে আমি নাকি ৯ মে ভাঙচুরের প্রধান সন্দেহভাজন এবং মাস্টার মাইন্ড। আমি পিটিআইয়ের কোনো নেতা বা কর্মী নই। আমি ইমরান খানের সমর্থক হিসাবে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিবাদ করেছিলাম।’


মন্তব্য