মুসলিম নারীদের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক মন্তব্য করায় কর্ণাটকে আরএসএস কর্মী গ্রেফতার
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৩, ০৬:২০ PM , আপডেট: ০৩ জুন ২০২৩, ০৬:২০ PM

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুসলিম নারীদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্ট শেয়ার করার অভিযোগে ভারতের কর্ণাটকের রাইচুর জেলায় উগ্র হিন্দুত্ববাদী আরএসএস-এর এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে কর্ণাটক পুলিশ। খবর পার্স টুডের।
পুলিশ বলেছে, অভিযুক্তের নাম রাজু তুম্বক। গত (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় তিনি মুসলিম নারীদের 'শিশু তৈরির কারখানা' বলে অভিহিত করেছিলেন। আপত্তিকর ও বিতর্কিত ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে থানা ঘেরাও করে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন।
পুলিশ বলেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে এই সংক্রান্ত একটি কার্টুন শেয়ার করেছিলেন। পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন সড়কে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারা লিঙ্গাসুগুর থানা ঘেরাও করে এবং অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করার পর তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ অভিযুক্ত রাজু তুম্বকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫ (ক) এবং ৫০৫(১)(গ) ধারায় একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে। ওই ঘটনার পর লিঙ্গাসুগুর শহরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ। গোটা বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
এদিকে, ওই ঘটনার আগে সম্প্রতি কংগ্রেসশাসিত রাজ্য সরকার ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ’র (আরএসএস) ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছিল।
কর্ণাটকের গণপূর্ত মন্ত্রী সতীশ জারকিহোলি সম্প্রতি বলেন, ‘আরএসএস’কে নিষিদ্ধ করার কোনও মানে নেই, পরিবর্তে 'শূদ্র' অর্থাৎ নিপীড়িত শ্রেণির লোকদের সংগঠন থেকে বের করে আনা উচিত। তাদের নিষিদ্ধ করলে নতুন সংগঠনের আবির্ভাব হবে। এর পরেই এবার মুসলিম নারীদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কার্টুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এলো।
ভারতের কর্ণাটকের রাইচুর জেলায় উগ্র হিন্দুত্ববাদী আরএসএস-এর এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে কর্ণাটক পুলিশ। রাজু তুম্বক নামে ধৃত ওই আরএসএস কর্মীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুসলিম নারীদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্ট শেয়ার করার অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ বলেছে, অভিযুক্তের নাম রাজু তুম্বক। গত (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় তিনি মুসলিম নারীদের 'শিশু তৈরির কারখানা' বলে অভিহিত করেছিলেন। আপত্তিকর ও বিতর্কিত ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে থানা ঘেরাও করে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন।
পুলিশ বলেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে এই সংক্রান্ত একটি কার্টুন শেয়ার করেছিলেন। পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন সড়কে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারা লিঙ্গাসুগুর থানা ঘেরাও করে এবং অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করার পর তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ অভিযুক্ত রাজু তুম্বকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫ (ক) এবং ৫০৫(১)(গ) ধারায় একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে। ওই ঘটনার পর লিঙ্গাসুগুর শহরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ। গোটা বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
এদিকে, ওই ঘটনার আগে সম্প্রতি কংগ্রেসশাসিত রাজ্য সরকার ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ’র (আরএসএস) ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। কর্ণাটকের গণপূর্ত মন্ত্রী সতীশ জারকিহোলি সম্প্রতি বলেন, ‘আরএসএস’কে নিষিদ্ধ করার কোনও মানে নেই, পরিবর্তে 'শূদ্র' অর্থাৎ নিপীড়িত শ্রেণির লোকদের সংগঠন থেকে বের করে আনা উচিত। তাদের নিষিদ্ধ করলে নতুন সংগঠনের আবির্ভাব হবে। এর পরেই এবার মুসলিম নারীদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কার্টুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এলো।
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদীর দীর্ঘদিনের ক্ষমতায় ভারতে আগের তুলনায় সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। মুসলমানদের প্রতি ঘৃণাপূর্ণ ভাষণসহ সরাসরি হুমকি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে এসব ভাষণের পরেও বেশিরভাগ সময়ই পার পেয়ে যায় বিদ্বেষ ছড়ানো ব্যক্তিরা। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ এমনকি সংবাদমাধ্যমেও মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানো হয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে। এর অনেকগুলো ফ্যাক্ট চেকে ধরা পড়লেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয় না সরকার।