ভারতের নতুন সংসদ ভবনে

অখণ্ড ভারতের মানচিত্র নিয়ে যা জানালো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

অখণ্ড ভারত
অখণ্ড ভারতের মানচিত্র, ইনসেটে পররাষ্ট্র পতিমন্ত্রী  © সংগৃৃহীত

‘অখণ্ড ভারত’ মানচিত্র নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেছেন, ভারতের অখণ্ড মানচিত্রের বিষয়ে দিল্লি দূতাবাসকে বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে। এ মানচিত্রটি গৌতম বুদ্ধের সময়েরও আগের। এটা রাজনৈতিক বিষয় নয়।

আজ সোমবার (৫ জুন) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে শাহরিয়াল আলম বলেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে তত সোস্যাল মিডিয়াতে অপপ্রচার বাড়বে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
 
জো বাইডেনের কাছে লেখা ৬ কংগ্রেসম্যানের পাঠানো চিঠির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দায়িত্বের বাইরে গিয়ে রাষ্ট্রদূতরা কোনো কাজ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করেন। সে সময় ম্যুরালটি সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। উদ্বোধনের দিন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী ম্যুরালটিকে ‘অখণ্ড ভারত’ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।
 
এ ম্যুরালের মাধ্যমে অখণ্ড ভারতের যে মানচিত্র আঁকা হয়েছে, তাতে রয়েছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমার।

এ নিয়ে নেপাল ও পাকিস্তান ইতোমধ্যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। 

মানচিত্র নিয়ে নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই মানচিত্র নেপালসহ ভারতের অন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অহেতুক ও ক্ষতিকর বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। বিভিন্ন প্রতিবেশীর সঙ্গে ভারতের যে বিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে, তা বাড়িয়ে দেয়ার মতো উপাদান এ মানচিত্রে রয়েছে।’
 
এদিকে ধর্মের অজুহাত দিয়ে ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বলে অভিযোগ করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
 
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বেলুচ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পার্লামেন্ট চত্বরে 'অখণ্ড ভারত’-এর ছবি এবং বিজেপি নেতাদের বক্তব্যে পাকিস্তান সরকার বেশ অবাক।
 
বেলুচ বলেন, অখণ্ড ভারতের মানচিত্র দিয়ে প্রতিবেশী দেশটির সাম্রাজ্যবাদী চিন্তাধারা ফুটে উঠেছে। তিনি বলেন, ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোকে শুধুমাত্র নতজানুই রাখতে চায় না, তারা সংখ্যালঘুদেরও নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এ ধরনের মানচিত্রে বাংলাদেশকে অংশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। আবার অনেকেই এটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় বলে মনে করছেন। 


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ