ন্যাটোতে সুইডেনের প্রবেশ চাইলে তুরস্ককে ইইউতে নিতে হবে : এরদোয়ান

তুরস্ক
  © ফাইল ফটো

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান সোমবার বলেছেন, তিনি সুইডেনের ন্যাটো প্রার্থিতাকে সমর্থন করবেন, যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আংকারার সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকা সদস্য পদ নিয়ে আলোচনা আবার শুরু করে।

এরদোয়ানের সমর্থন জয়ের জন্য সুইডেনের প্রচেষ্টা নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে চলা গল্পের সর্বশেষ বাঁকটি লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে এলো, যেখানে পশ্চিমা নেতারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের মুখে ঐক্য প্রদর্শন করতে চায়। এদিন ভিলনিয়াসে সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসনের সঙ্গে এরদোয়ানের দেখা করার কথা রয়েছে।

এরদোয়ান লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটো সম্মেলনের জন্য দেশ ছাড়ার আগে টেলিভিশন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রথমে তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার পথ উন্মুক্ত করুন।

তারপর আমরা সুইডেনের জন্য পথ খুলে দেব, যেমনটি আমরা ফিনল্যান্ডের জন্য দিয়েছিলাম।’ রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও ফোনে একই কথা বলেছেন বলে জানান তুর্কি নেতা।
তুরস্কের ইইউ সদস্য পদে যেসব নেতারা বাধা দিয়েছিলেন, তারাই চাচ্ছেন তিনি যেনো সুইডেনের ন্যাটো প্রার্থিতাকে সমর্থন করেন—এ মন্তব্য করে এরদোয়ান আরো বলেন, ‘আমি বাস্তবতার ওপর জোর দিতে চাই। তুরস্ক ৫০ বছর ধরে ইইউর দরজায় অপেক্ষা করছে।

ন্যাটোর প্রায় সকল সদস্যই ইইউ সদস্য। আমি এখন এই দেশগুলোর কথা বলছি, যারা তুরস্ককে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে বাধ্য করেছে। আমি ভিলনিয়াসে তাদের কথা আবারও বলব।’
এ ছাড়া ইউক্রেনের ব্যাপারে এরদোয়ান বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের অবসান হলে কিয়েভের ন্যাটো সদস্য পদ প্রক্রিয়া সহজ হবে।

১৯৮৭ সালে তুরস্ক প্রথম ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল, যা ইইউর পূর্বসূরি। দেশটি ১৯৯৯ সালে ইইউ প্রার্থী দেশ হয়ে ওঠে এবং ২০০৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের সঙ্গে সদস্য পদ পাওয়ার ব্যাপারে আলোচনা শুরু করে। কিন্তু তুরস্কের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ইউরোপীয় উদ্বেগের কারণে ২০১৬ সালে আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় কয়েক দশক ধরে চলমান শীতল যুদ্ধের সামরিক নিরপেক্ষতার নীতি পরিত্যাগ করে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড গত বছর ন্যাটোর সদস্য পদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। এপ্রিলে ফিনল্যান্ডের ন্যাটো সদস্য পদে সবুজ বাতি জ্বলে উঠলেও তুরস্ক ও হাঙ্গেরি এখনো সুইডেনকে সমর্থক দেয়নি। অন্যদিকে স্টকহোম ভিলনিয়াসের শীর্ষ সম্মেলনে জোটে যোগদানের জন্য কাজ করছে।

সূত্র : এএফপি, রয়টার্স