পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নওয়াজের বেয়াই!
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৯:০৭ PM , আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৯:০৭ PM

পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বেয়াই অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার! আগামী ৮ আগস্ট পার্লামেন্ট ভাঙার আগেই এ চাপা শোরগোল শুরু হয়েছে দেশটির রাজনীতিক মহলে।
সোমবার (২৪ জুলাই) পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর সদস্যরা বিষয়টিতে ইতোমধ্যেই ঐকম্যতে পৌঁছেছেন। অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তবে কমিটি গঠনের বিষয়টিকে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন শরিকদল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) তথ্য সচিব ফয়সাল করিম কুন্দি।
সোমবার দ্য নিউজকে তিনি জানান, ‘পিএমএল এখন পর্যন্ত পিপিপির সঙ্গে ইসহাক দারের নাম আলোচনায় আনেননি। দলের ভেতরে ও জোট শরিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কোনো নাম প্রস্তাবিত হলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন:- ধর্মের জন্য ক্রিকেট ছাড়লেন পাকিস্তানি নারী ক্রিকেটার
কাশ্মিরী বংশোদ্ভূত ইসহাক দারকে শরিফ পরিবারের সবচেয়ে বিশ্বস্ত হিসাবে মনে করা হয়ে থাকে। বলা হয়ে থাকে, নওয়াজের চাপেই তাকে অর্থমন্ত্রীর পদ দিয়েছেন শাহবাজ শরিফ।
দলটির পরিকল্পনা বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী আহসান ইকবাল বলেন, ‘সব দল সম্মত থাকলে ইসহাক দারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন। তবে সিদ্ধান্তে মন্ত্রিসভা ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’ সরকার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বিশেষ সূত্র হতে জানা গেছে, ৮ আগস্ট সিদ্ধান্ত কার্যকরের পরিকল্পনা রয়েছে। পাকিস্তানের সংবিধানের ২২৪ অনুচ্ছেদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়োগের এ প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ কয়েকদিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে কেবলমাত্র বর্তমান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ তার অবস্থানে বহাল থাকবেন।
এদিকে সংসদীয় সূত্র হতে জানা গেছে, সংসদের দুটি কক্ষ পৃথকভাবে নির্বাচনি সংস্কার বিল গ্রহণ করবে। যার ফলে এই সপ্তাহে নির্বাচনি আইন ২০১৭-এ বড় পরিবর্তন আসবে।
প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গুরুত্বপূর্র্ণ বিষয়ে লেনদেনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। আইনের সংশোধনীগুলো দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) আরও শক্তিশালী করবে।