মস্কোর কৃষ্ণ সাগর শস্য ‘অবরোধ’ উপেক্ষা করে ইউক্রেনে ইসরায়েলি জাহাজ

সোমবার আশদোদ বন্দর থেকে যাত্রা করা একটি ইসরায়েলি বণিক জাহাজ প্রথম নৌযান হিসেবে প্রকাশ্যে রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরের অবরোধকে অস্বীকার করে ইউক্রেনের বন্দরে পৌঁছেছে।

সোমবার (৩১ জুলাই) ইউক্রেনীয় সংবাদ আউটলেট মিলিটারিয়া (Militarnyi) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি জাহাজ এএমএস-১ আপাতদৃষ্টিতে রাশিয়ান হুমকি উপেক্ষা করে এবং সোমবার বিকেলে দানিউবের ইউক্রেনীয় শাখায় প্রবেশ করে। এটি অ্যাশদোদ বন্দর থেকে সরাসরি কৃষ্ণ সাগর অতিক্রম করেছে। এ সময় আমেরিকান বিমান পি-৮ পসেইডন আকাশ নিরাপত্তা প্রদান করেছিল।

এএমএস-১ এর পরে আরও চারটি জাহাজ ছিল যেগুলো হয় নোঙর করেছে অথবা শীঘ্রই দানিয়ুবে নোঙর করবে।

জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে শস্যচুক্তি থেকে সরে আসে। তখন রাশিয়া এই যুক্তি দিয়েছিল যে তার নিজস্ব খাদ্য এবং সার রপ্তানি উন্নত করার দাবি পূরণ করা হয়নি এবং কৃষ্ণ সাগর চুক্তির অধীনে সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলিতে পর্যাপ্ত ইউক্রেনীয় শস্য পৌঁছেনি।

মস্কোর কৃষ্ণ সাগর অবরোধ
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট মোকাবেলার প্রচেষ্টায় দুই সপ্তাহ আগে রাশিয়া যে কৃষ্ণ সাগরের শস্য চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করেছিল তা জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় এক বছর আগে হয়েছিল। ইউক্রেন এবং রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম শস্য রপ্তানিকারকদের মধ্যে একটি।

রাশিয়া চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোয় এবং কৃষ্ণ সাগর এবং দানিউব নদীর উপর ইউক্রেনের খাদ্য রপ্তানিকারক বন্দরগুলিতে আক্রমণ শুরু করায় বিশ্বব্যাপী গম এবং ভুট্টার দর দ্রুত বেড়েছে।

সূত্র: দ্য জেরুজালেম পোস্ট