রাশিয়ার বাঁধায় ইউক্রেনের গম রপ্তানি বন্ধ, শরণার্থীদের অনাহারে মৃত্যুর আশঙ্কা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ০৬:২১ PM , আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ০৬:২১ PM

রাশিয়ার বাধায় কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের গম রপ্তানি বন্ধ থাকায় শুধু দামই বাড়ছে না; চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে জাতিসংঘের খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে জাতিসংঘের তত্বাবধানে দেশে দেশে গড়ে ওঠা ক্যাম্পে আশ্রিত শরণার্থীদের প্রাত্যহিক জীবনে। এমন অবস্থায় শস্য রপ্তানির বিকল্প রুট দানিয়ূব বন্দরেও হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহকারি নির্বাহী পরিচালক কার্ল স্কাউয়ের আশঙ্কা, শিগগিরই এমন নিদারুণ পরিস্থিতির সমাধান না হলে চরম অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে বিশ্ব। তিনি বলেন ক্ষুধার যন্ত্রণায় অনাহারে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে বহু শরণার্থী।
শুধু সিরিয়া, লেবানন বা জর্ডান নয়; বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা শরণার্থী শিবিরের দৃশ্য কমবেশি একই। অনিশ্চিত আর অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যতকে সাথী করে বেড়ে উঠছে কোমলমতি এই শিশুরা।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সহকারি নির্বাহী পরিচালক কার্ল স্কাউয়ে বলেন, "খুবই কষ্টকর এক অবস্থা। সিরিয়ায় প্রায় ৫০ লাখ ৫০ হাজার শরণার্থীকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হতো। কিন্তু পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে এখন মাত্র ৩০ লাখ ৫০ হাজার শরণার্থীর কাছে এই সহায়তা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে। বাদ পড়ছেন ২০ লাখের মতো শরণার্থী। খোলামেলা ভাষায় বলতে গেলে, নিদারুণ খাদ্য সংকটে পড়া এই বিশাল জনগোষ্ঠী কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে, তা খুবই চিন্তার বিষয়।"
কার্ল স্কাউয় জানান, "গত বছর মোট চাহিদার ৫০ শতাংশ গম ইউক্রেন থেকে আমরা আমদানি করেছি। ভালো দাম পাওয়ায় এবছরও ৮০ শতাংশ আটা এসেছে ইউক্রেন থেকে। কিন্তু তারপরও এসব খাদ্যশস্য আমদানির রুট কৌশলগতভাবে কৃষ্ণসাগর হওয়ায় শুধু সিরিয়া বা লেবানন নয়; ইয়েমেন, ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, জিবুতি ও সোমালিয়ায় খাদ্য বিতরণের বড় কর্মসূচি বন্ধ করতে হয়েছে।"