ইমরান খানকে খাবার দিচ্ছে না কারা কর্তৃপক্ষ: অভিযোগ কোরেশির

ইমরান খান
গ্রেপ্তারের পর ইমরান খানকে হাই সিকিউরিটির জেলে রাখা হয়েছে  © স্কাই নিউজ

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে কারাগারে খাবার দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন পিটিআই পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেশি। তিনি বলেন, ‘ইমরান খানের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে খাবারও দিচ্ছে না।’

পাকিস্তানের সম্প্রচারমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

চ্যানেলটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহ মাহমুদ কোরেশি আরও বলেন, আদালত ইমরান খানকে আদিয়ালা কারাগারে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিলেও তাঁকে অ্যাটক কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। এটি একটি কুখ্যাত কারাগার। সেখানে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাব রয়েছে। কারাগারটিতে ‘বি ক্লাস’ সুবিধা দেওয়া হয় না।

একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ‘সি ক্লাস’ কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে দাবি করে কোরেশি বলেন, কারাগারে ইমরান খানের কাছে আইনজীবীদের যেতে দেওয়া হয়নি। অথচ তাঁর সঙ্গে আইনজীবীদের দেখা করা জরুরি। কারণ পাওয়ার অফ অ্যাটর্নিতে তাঁর স্বাক্ষর ছাড়া ইমরান খানের মুক্তির জন্য আইনজীবীরা আপিল করতে পারবেন না।

ইমরান খানকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন শাহ মাহমুদ কোরেশি। তিনি বলেন, পিটিআই প্রধানকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পলি ক্লিনিকের মেডিকেল বোর্ডে নেওয়া হয়নি যা প্রতিটি বন্দীর বাধ্যতামূলক অধিকার এবং জেল প্রশাসনের দায়িত্ব।

ইমরান খানের জীবন ঝুঁকিতে আছে দাবি করে তিনি বিচার বিভাগকে নোটিশ দেওয়া দাবি জানান।

গত শনিবার (৬ আগস্ট) তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের আদালত। শুধু কারাদণ্ডই নয়, ইমরানের বিরুদ্ধে ১ লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানাও করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৫ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। রায়ের পর লাহোরের জামান পার্কে ইমরান খানের বাসভবন থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর ইমরান খানকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়। গত দুদিন ধরে সেখানেই রয়েছেন তিনি।

ইসিপির দায়ের করা একটি ফৌজদারি অভিযোগের ভিত্তিতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতারা তোশাখানা মামলাটি করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ইমরান রাষ্ট্রীয় তোশাখানা থেকে যে উপহারগুলো রেখেছিলেন তার বিবরণ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন’ করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এই কাজ করেন। উপহার বিক্রি থেকে ইমরান মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।