আবার সুইজারল্যান্ড থেকে এলএনজি আসছে

গ্যাস
  © ফাইল ছবি

আবার সুইজারল্যান্ড থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে সরকার। এ দফায় ইউরোপীয় ইউনিউনের (ইইউ) মুলুক থেকে আনা হচ্ছে ১ কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি। এতে খরচ হবে প্রায় ৪৭৮ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা।

আগামী বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত হবে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস কোম্পানি পেট্রোবাংলা এই এলএনজি আমদানি করবে।

জ্বালানি সচিব ড. মো. খায়রুজামান সই করা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সর্বনিম্ন দরদাতা সুইজারল্যান্ডের এনার্জি কোম্পানি মের্সাস টোটাল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে জ্বালানি পণ্যটি আমদানির করা হবে। প্রতি ইউনিট এমএমবিটিইউ’র দর ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ১৭০০ মার্কিন ডলার।

আরও দুটি সিঙ্গাপুরের কোম্পানি ভিটার এশিয়া পিটিই লিমিটেড এবং গ্যানভার সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড আন্তর্জাতিক টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।

পেট্রোবাংলার ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, দেশে এখন দিনে গ্যাসের চাহিদা ৪০০ কোটি ঘনফুট। সর্বোচ্চ সরবরাহ করা হয় ৩০০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে দেশীয় উৎস থেকে আসে ২২৫ থেকে ২৩০ কোটি ঘনফুট। আর বাকিটা এলএনজি আমদানি করে মেটানো হয়।

২০৩০ সালে দিনে গ্যাসের চাহিদা হবে ৫৬০ কোটি ঘনফুট। এর কতটা আমদানি করে মেটানো হবে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পেট্রোবাংলা।

গ্যাস–সংকট বিবেচনায় ২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল এলএনজি আমদানি শুরু করে সরকার। খোলাবাজার থেকে আমদানির জন্য ২০১৯ সালে একটি পরিকল্পনাও নেয় তারা। এর অংশ হিসেবে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পেট্রোবাংলা এলএনজি আমদানির জন্য ২১টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ এগ্রিমেন্ট করে। 

গত মে সাসে সুইজারল্যান্ডের টোটাল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে প্রায় ৬১৮ কোটি টাকায় ১ কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। আগের মাসে জাপানের জেরা কোম্পানি থেকে ৬৯০ কোটি ৪২ লাখ টাকায় আরও এক কার্গো জ্বালানি পণ্যটি কেনার প্রস্তাব গৃহীত হয়।