জ্বালানি তেলের মূল্য আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস

তেল
  © ফাইল ছবি

উৎপাদনকারী ও তাদের মিত্রদের জোটের (ওপেক প্লাস) সদস্য দেশগুলো বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ কমিয়েছে। এতে চলতি বছরের বাকি সময় বিভিন্ন দেশে জ্বালানি পণ্যটির মজুত উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে। 

ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম আরও বাড়বে। বেশ্বিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) এ পূর্বাভাস দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ইতোমধ্যে ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো তেলের উত্তোলন কমিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে চাহিদা বেড়েছে। ফলে জ্বালানি পণ্যটির দরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে প্রতি ব্যারেলের মূল্য উঠেছে ৮৮ ডলারের ওপরে। গত জানুয়ারির পর যা সর্বোচ্চ। 

আইইএ বলছে, ওপেক প্লাস যদি বর্তমান লক্ষ্যমাত্রা বজায় রাখে, তাহলে ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে তেলের মজুত নিঃসন্দেহে কমবে। চতুর্থ প্রান্তিকে তা আরও হ্রাস পাবে। ফলে জ্বালানি পণ্যটির দাম বাড়ার ঝুঁকি রয়ে গেছে।

২০২২ সালের শেষদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের সরবরাহ কমানো শুরু করে ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো। চলমান বছরের জুনে সেই মেয়াদ আরও বাড়িয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত করে তারা। জ্বালানি পণ্যটির বৈশ্বিক মূল্য ঊর্ধ্বমুখী রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেয় তারা। সেটা ফলপ্রসূও হয়েছে।   

আইইএ জানিয়েছে, বিদায়ী জুলাইয়ে বিশ্বব্যাপী তেলের সরবরাহ কমেছে ৯ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল। গত মাসে বিশ্বের শীর্ষ রপ্তানিকারক সৌদি আরব উৎপাদন কমিয়েছে। এছাড়া রপ্তানি বৃদ্ধি করেনি রাশিয়া। ফলে এই নিম্নমুখিতা তৈরি হয়েছে। 

আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থাটি বলছে, নতুন বছরে প্রতিদিন তেলের চাহিদা কমবে ১ মিলিয়ন ব্যারেল করে। কারণ, দুর্বল সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল রয়েছে। করোনা মহামারী-পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার গতি ধীর হয়েছে। সেই সঙ্গে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে।