দেশে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম উপায়ে উটপাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটালো গবেষকরা

উটপাখি
কৃত্রিম উপায়ে ফোটানো উটপাখির বাচ্চা  © পার্স টুডে

প্রথমবারের মত বাংলাদেশে কৃত্রিম উপায়ে উট পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোয় সফল হয়েছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স এন্ড এনিমেল ব্রিডিং বিভাগের গবেষকরা। এর মধ্যদিয়ে দেশে নতুন একটি সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিদেশ থেকে এই উটপাখির বাচ্চা সংগ্রহ করা ছিল বেশ ব্যয়বহুল। তবে দেশে উটপাখির বাচ্চা উৎপাদন হলে আর্থিক সাশ্রয়ের পাশাপাশি আমিষের ঘাটতি পূরণে নতুন মাত্রা সৃষ্টি হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

উটপাখি এই অঞ্চলের জন্য উপযোগী কিনা সেটি পরীক্ষার জন্য একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৫ সালে দুই দফায় ১৯টি উট পাখির বাচ্চা বিদেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হয়। পরবর্তী সময়ে নানা জটিলতায় খামারের মারা যায় ৮টি বাচ্চা। এসব তথ্য জানা যায় গবেষণা টিমের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।

গেল দুই বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের খামারে রেখে ১১টি উট পাখির উপর বিস্তর গবেষনা শুরু করে গবেষক দলটি। দীর্ঘদিনের অবসান শেষে সম্প্রতি ইনকিউবেটরে ৪০দিন থাকার পর ১২টি ডিমের মধ্যে একটি থেকে সুস্থ সবল বাচ্চা বেরিয়ে আসে বলে জানান গবেষকরা।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স এন্ড এনিমেল ব্রিডিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রাশেদুল ইসলাম জানান, উট পাখির বাচ্চাটি এখন সুস্থ ও সবল রয়েছে, রাখা হয়েছে নিবিড় পর্যবেক্ষণে।

দেশে প্রথমবারের মত হাজী দানেশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিভাগটি দীর্ঘ প্রচেষ্টায় পর আলোর মুখ দেখলো বলে জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উম্মে সালমা। বিদেশ থেকে মাত্র ৭ দিনের এক জোড়া উটপাখির বাচ্চা দেশে আনতে খরচ হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। এমন প্রেক্ষাপটে উট পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর সফলতাকে অনেক সম্ভাবনাময় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র: পার্স টুডে