১৫ বছর পর দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিনাওয়াত্রা

আন্তর্জাতিক
থাকসিন সিনাওয়াত্রা   © সংগৃৃহীত

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) থাইল্যান্ডে ফিরেছেন। তবে দেশটিতে নামার কিছুক্ষণ পরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আদালতে নেওয়ার পর জেলে পাঠানো হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা এএফপি জানায়, পার্লামেন্টে থাকসিনের দলের মনোনীত প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেওয়ার ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন।

১৫ বছর স্ব-নির্বাসনে দেশের বাইরে ছিলেন থাকসিন। থাইল্যান্ডের খাওসোদ মিডিয়া ও থাই পিবিএসের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, প্রাইভেট প্লেনে করে সিঙ্গাপুর থেকে ব্যাংককের ডন মুয়েং বিমানবন্দরে মঙ্গলবার সকাল ৯ টার কিছুক্ষণ পরে থাকসিন অবতরণ করেন। 

থাইল্যান্ডে অবতরণ করার পরেই থাকসিন দেশটির রাজাকে শ্রদ্ধা জানান এবং কিছুক্ষণ পরেই দেশটির পুলিশ কনভয়ে করে তাকে সুপ্রীম কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে ক্ষমতার অপব্যবহার ও আরও বেশকয়েকটি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়। তবে থাকসিন বলেছেন, এসব রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। 

থাকসিনের দেশে ফেরার পরেই তার মেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইন্সটাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, থাইল্যান্ডে আবার স্বাগতম বাবা। 

এর আগে, থাকসিনের বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রা যিনিও থাইল্যান্ডের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী টিকটকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, থাকসিন লাল রঙয়ের টাই ও ডার্ক স্যুট পড়ে হেঁটে একটি ছোট প্লেনের দিকে যাচ্ছেন।

৭৪ বছর বয়সী থাকসিন থাইল্যান্ডের দুবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। 
 ‘দুর্নীতির’ মামলায় কারাগারে যাওয়া এড়াতে ২০০৮ সালে থাকসিন দেশ ছাড়েন। তার পর থেকে তিনি দেশের বাইরে স্বেচ্ছানির্বাসনে ছিলেন।

থাকসিনের অনুপস্থিতিতে বিচারে একাধিক ফৌজদারি মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের আরও মামলা রয়েছে।

থাকসিন আগেই বলেছেন, তিনি দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে মামলাগুলোকে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করে আসছেন।