বাংলাদেশ কেন ব্রিকসে নেই, জানালেন পররাষ্ট্র সচিব
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০৮:০০ PM , আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০৮:০৮ PM

ব্রিকসের আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষার নীতির কারণেই এবার সদস্য হতে পারেনি বাংলাদেশ, জানালেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তবে দ্বিতীয় ধাপে এই জোটে যুক্ত হওয়ার আশা করছে ঢাকা। সাউথ আফ্রিকায় ব্রিকসের ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেয়ার পর দেশে ফিরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ-কথা জানান সচিব।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘রাজনৈতিক এবং এখানে আঞ্চলিক অনেক ইস্যু আছে যেমন এখানে ব্যালেন্স করার একটি ব্যাপার আছে। ল্যাটিন আমেরিকা থেকে একজনকে নিয়েছে, আফ্রিকা থেকে নিয়েছে, আবার নর্থ আফ্রিকা থেকে নিয়েছে, মিডল ইস্ট থেকে নিয়েছে। সুতরাং তারাও একটি জিওগ্রাফিক্যাল ব্যালেন্স করার চেষ্টা করেছে। আমাদের আশেপাশে আরও দেশ ছিল যারা ইন্টারেস্টেড ছিল। তারা হয়ত পায়নি। এটা একটা অন গোয়িং প্রসেস।’
মাসুদ বিন মোমেন জানান, ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সদস্য বাংলাদেশ, তাই এবার জোটে অন্তর্ভুক্ত হতে না পারলেও হতাশার কিছু নেই।
ব্রিকসে বাংলাদেশের সদস্য পদ নিয়ে অনিশ্চয়তা ব্রিকসে বাংলাদেশের সদস্য পদ নিয়ে অনিশ্চয়তা নতুন সদস্য যোগ দেওয়ার পর ‘ব্রিকস’ কি নাম পরিবর্তন করবে?নতুন সদস্য যোগ দেওয়ার পর ‘ব্রিকস’ কি নাম পরিবর্তন করবে?
উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ‘ব্রিকস’। এতে গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান, আর্জেন্টিনা, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও সৌদি আরব। গত ২২ থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ব্রিকসের ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে এ ছয়টি দেশকে ব্রিকসের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কিন্তু সদস্য হতে চেয়ে আবেদন করেছিল আলজেরিয়া, বলিভিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কিউবা, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, কমোরোস, গ্যাবন ও কাজাখস্তানসহ বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশ। আবেদনের তালিকায় ছিল বাংলাদেশের নামও। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এতগুলো আগ্রহী দেশের মধ্যে এবার ভাগ্যের শিকে ছিড়ল মাত্র ছয়টি দেশের। সামনের শীর্ষ সম্মেলনে হয়তো আরও কয়েকটি দেশকে ব্রিকসের সদস্য হতে দেখা যাবে।
ব্রিকসে সদস্য বাড়াতে চায় চীন, তীব্র বিরোধিতা ভারত ও ব্রাজিলেরব্রিকসে সদস্য বাড়াতে চায় চীন, তীব্র বিরোধিতা ভারত ও ব্রাজিলের এসময় এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সার্বিক ব্যবস্থা সরাসরি খতিয়ে দেখতে আগামী সেপ্টেম্বরে মিয়ানমারে যাবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এ বছরই প্রত্যাবাসন শুরু কর সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের ঢাকা সফরের দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি বলে জানান মাসুদ বিন মোমেন।