ইসরায়েলের সঙ্গে বৈঠককে কেন্দ্র করে লিবিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে

লিবিয়া
টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে লিবিয়ায়  © বিবিসি

লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাজলা মাঙ্গুশ এবং ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন গত সপ্তাহে বৈঠক করেছিলেন খবর প্রকাশ্যে আসে। এই বৈঠকের বিষয়ে ইসরায়েল এক বিবৃতিতে বলেছে, গত সপ্তাহের ওই বৈঠকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয় দেশের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

অবশ্য এই বৈঠকের খবর সামনে আসার পর লিবিয়ায় ছোট আকারে বিক্ষোভ হয়েছে। মূলত দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় না উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়া।

তবে লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে- মন্ত্রী নাজলা মাঙ্গুশ ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকে বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। কিন্তু যা ঘটেছে তা হল- ‘ইতালির পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠকের সময় অপ্রস্তুত, অপ্রত্যাশিত সাক্ষাৎ করিয়েছে।’

লিবিয়ার মন্ত্রালয়ের এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, (ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে) আকস্মিক সেই সাক্ষাতে ‘কোনও আলোচনা, চুক্তি বা পরামর্শ’ অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ‘স্বাভাবিকীকরণকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান’ করেছে মন্ত্রণালয়।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমি (লিবিয়ার) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দুই দেশের জন্য বিশাল সম্ভাবনার বিষয়ে কথা বলেছি।”

বৈঠকটি ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানির সহায়তায় আয়োজন করা হয়েছিল বলেও ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। বৈঠকে তারা (লিবিয়া ও ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী) মানবিক সমস্যা, কৃষি ও পানি ব্যবস্থাপনায় সম্ভাব্য সহযোগিতা এবং ইসরায়েলি সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেও জানানো হয়েছে।

কোহেন বলেছেন, তিনি লিবিয়ায় ইহুদি ঐতিহ্য সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে মাঙ্গুশের সাথে কথা বলেছেন। 

এই বৈঠকের খবরের পর রাজধানী ত্রিপোলি এবং আরও কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এসময় রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে এবং টায়ার পোড়ানো হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনি পতাকা নেড়ে তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে। বিবিসি বলছে, বিক্ষোভ তুলনামূলকভাবে ছোট ছিল বলে মনে হয়।

লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাজলা আল-মঙ্গুশের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

সুত্র: বিবিসি