সহপাঠীদের দিয়ে মুসলিম শিশুকে চড়, ভারতের সেই স্কুল বন্ধ
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ০২:২০ PM , আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ০২:২০ PM

সহপাঠীদের দিয়ে একজন মুসলিম ছাত্রকে চড় মারানোর ঘটনায় বন্ধ করে দেওয়া হলো ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি বেসরকারি স্কুল। ঘটনার তদন্তের স্বার্থে এ স্বিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে এ ব্যাপারে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর।
বন্ধ থাকার কারণে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের যেন পড়াশোনার ক্ষতি না হয়, সে জন্য তাদের কাছের স্কুলগুলোতে ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই নোটিশে।
শিক্ষা দফতরের কর্মকর্তারা বলেছেন, শিক্ষার মানদণ্ড পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে স্কুলটি। গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) মুসলিম শিক্ষার্থীকে চড় মারার ঘটনাটি ঘটে রাজ্যের মুজাফফরনগরের খুব্বাপুর গ্রামের নেহা পাবলিক স্কুলে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তৃপ্তা তিয়াগী চড় মারার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ভুক্তভোগী ছাত্রের পরিবার জানিয়েছে, ক্লাসের সময়সূচি নিয়ে সমস্যা হওয়ার কারণে সহপাঠীদের দিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল তাকে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মুজাফফরনগরের ঐ স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকা সাত বছরের এক ছাত্রকে শাস্তি দিচ্ছেন। তিনি সহপাঠীদের উঠে এসে ওই ছাত্রকে চড় মারতে বলছিলেন। ভিডিওতে আরো দেখা যাচ্ছে আস্তে থাপ্পড় মারলে শিক্ষিকা রেগে যাচ্ছেন। বলছেন, এভাবে কি মারছ? জোরে মারো।
এভাবে একের পর এক ছাত্র যখন ওই মুসলিম শিশুটিকে মারছিল তখন ছাত্রটিকে কাঁদতে দেখা যায়। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষিকা তৃপ্তা তিয়াগীর দাবি সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তিনি এমন নির্দেশ দেননি। বিতর্কিত ওই ঘটনায় তিনি মোটেও লজ্জিত নন। আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি এটিকে তুচ্ছ ঘটনা বলেন। তার দাবি, ওই মুসলিম শিক্ষার্থী স্কুলে বাড়ির কাজ না করে নিয়ে আসায় তাকে এমন শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।
তবে স্কুল বন্ধের বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। এই ঘটনার পর ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা পুলিশে অভিযোগ করেন। তিনি আর তা সন্তানকে ওই স্কুলে পাঠাবেন না বলে জানিয়েছেন। পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। তবে মামলাটি জামিনযোগ্য হওয়ায় তাকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি।
গতকাল রবিবার (২৭ আগস্ট) উত্তর প্রদেশের শিক্ষা কর্মকর্তা শুভম শুকলা জানিয়েছেন, ঘটনাটি তদন্ত করছে কর্তৃপক্ষ।
সূত্র : বিবিসি