গ্রিসের দাবানলে পুড়ে গেছে ওয়াশিংটন ডিসির চেয়েও ৪ গুণ এলাকা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০৩:০৯ PM , আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০৩:৩৭ PM

উত্তর-পূর্ব গ্রিসে ১১ দিন ধরে দাবানলে পুড়ছে। এই দাবানলে ইতোমধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটির চেয়েও বড় একটি এলাকা ধ্বংস করে ফেলেছে। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে চার গুণেরও বেশি বড়।
গতকাল মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সমর্থিত কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস বলেছে, বিভিন্ন দেশের দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার লড়াই করে যাচ্ছে।
ইউরো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জরুরি প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার অধীনে জার্মানি, সুইডেন, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস এবং চেক প্রজাতন্ত্র থেকে ইতিমধ্যেই দাবানল নিয়ন্ত্রণে বিমন পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ফ্রান্স এবং স্পেন অতিরিক্ত বিমান পাঠাচ্ছে।
রোমানিয়া, ফ্রান্স, চেক প্রজাতন্ত্র, বুলগেরিয়া, আলবেনিয়া, স্লোভাকিয়া এবং সার্বিয়া থেকেও ৩৫০ টিরও বেশি দমকলকর্মী গ্রিসে পাঠানো হয়েছে।
ঝড়ো হাওয়া এবং গরম আবহাওয়ার কারণে আলেকজান্দ্রোপলিস শহরের কাছে শুরু হওয়া আগুন দ্রুত ইভ্রোস অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। গত সপ্তাহে শুরু হওয়া ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মক এই দাবানলে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে।
সবুজ শ্যামল মাটিকে পোড়া মাটিতে পরিণিত করেছ ধ্বংস হয়েছে ঘরবাড়ি
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স(টুইটার)-এর একটি পোস্টে ‘কোপার্নিকাস ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস’ জানিয়েছে, আগুন কমপক্ষে ৮০৮.৭ বর্গ কিলোমিটার (৩১২.২ বর্গ মাইল) এলাকা ধ্বংস করেছে। যা নিউইয়র্ক সিটি ৭৭৮.২ বর্গ কিলোমিটার (৩০০.৫ বর্গ মাইল)-এর সমান।
তারা জানায়, ‘ইউরোপীয় বন অগ্নিনির্বাপন তথ্য ব্যবস্থা অনুযায়ী ২০০০ সালের পর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে এই দাবানল সবচেয়ে বড়।
’ কর্তৃপক্ষ বলেছে, আগুন এখনও অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় আছে
ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে, আলবেনিয়া, সার্বিয়া, স্লোভাকিয়া এবং চেক প্রজাতন্ত্রের বিমান এবং শত শত অগ্নিনির্বাপক কর্মী আগুনের সঙ্গে লড়াই করছে।ইইউ কমিশনের এক মুখপাত্র বালাজ উজভারি জানিয়েছেন, গ্রিসের আলেকজান্দ্রোপলি শহরের উত্তরে আগুন মোকাবেলায় ইইউ বহরের ১১টি বিমান এবং একটি হেলিকপ্টারসহ ৪০৭ জন অগ্নিনির্বাপক কর্মী পাঠানো হয়েছে।
গ্রিসের অগ্নিনির্বাপন নিয়ন্ত্রণ বিভাগ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের দাদিয়া ন্যাশনাল পার্কের আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
সূত্র: রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট, ইউরো নিউজ