ভারতের পর চীনের নতুন মানচিত্র প্রত্যাখ্যান করলো আরও ৪ দেশ

চীন
ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও সাউথ চায়না সী চীনের নতুন মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত  © সংগৃৃহীত

চীনের নতুন মানচিত্র নিয়ে বিভিন্ন মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মানচিত্র প্রকাশের পরপরই ভারত এর বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে এই মানচিত্র প্রত্যাখ্যান করে। ভারতের পর এবার এশিয়ার আরও ৪ দেশ মানচিত্রটি প্রত্যাখ্যান করলো। তাদের অভিযোগ, অন্যায়ভাবে দক্ষিণ চীন সাগরের সিংহভাগ নিজের দাবি করছে বেইজিং। ক্ষুব্ধ মোদি প্রশাসন বলছে, এটি প্রতিবেশী দেশের অযৌক্তিক দাবি। তবে শি জিনপিং সরকারের দাবি, মানসম্পন্ন সেবার লক্ষ্যেই মানচিত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।

সীমান্ত নিয়ে চীন-ভারতের দ্বন্দ্ব বহু পুরানো। চলতি সপ্তাহে সেই আগুনে ঘি ঢাললো নতুন প্রকাশিত একটি মানচিত্র। তাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অরুণাচল প্রদেশ এবং আকসাই চীন মালভূমি। এ ইস্যুতে মঙ্গলবার থেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে নয়াদিল্লি।

ক্ষোভ জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর বলেন, চীন অতীতেও নিজ মানচিত্রে আমাদের ভূখণ্ড দেখিয়েছে। এটা দেশটির পুরানো অভ্যাস। ১৯৫০ সাল থেকেই তারা এমন করছে। কিন্তু যে অঞ্চলগুলো ভারতের, সেগুলো সবসময়ই আমাদের থাকবে।

তিনি আরও বলেন, নয়াদিল্লির অবস্থান সুস্পষ্ট। এই সরকার জানে, কীভাবে নিজ মাতৃভূমি রক্ষা করতে হবে। সেভাবেই সীমান্ত সুরক্ষা বহাল রাখা হয়েছে। অন্য দেশের ভূ-ভাগ নিজের দাবি করাটা স্রেফ অযৌক্তিক।

ভারতের পর মানচিত্রটি প্রত্যাখান করেছে তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়া। দেশগুলোর অভিযোগ, বির্তকিত দক্ষিণ চীন সাগরে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যেই এমন উসকানিমূলক আচরণ করছে বেইজিং। অবশ্য, সেই তর্ক-বিতর্ককে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না শি জিনপিং প্রশাসন।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, চীন প্রতিবছর মানচিত্রে নতুন তথ্য সংযোজনের পর প্রকাশ করে। কারণ আমাদের লক্ষ্য হলো, মানসম্পন্ন সেবা প্রদান। ম্যাপ ব্যবহারে জনসাধারণ যেনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা মানে, সেটা নিশ্চিত করাও লক্ষ্য আমাদের। চীনের প্রত্যাশা, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো এটিকে বস্তুনিষ্ঠ এবং যৌক্তিকভাবে দেখবে। আবারও বলবো, দক্ষিণ চীন সাগরের ব্যাপারে চীনের অবস্থান সুসংহত ও স্পষ্ট।

এর আগে এপ্রিল মাসেও অরুনাচলের ১১টি স্থানকে ‘জাংনান’ বা দক্ষিণ তিব্বতের অংশ দেখিয়ে মানচিত্র প্রকাশ করেছিল চীন।

অবশ্য এর আগে ভারত পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর এবং চীন নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরকে নিজেদের ভূ-ভাগে অন্তর্ভুক্ত করে মানচিত্র প্রকাশ করেছিলো।


মন্তব্য